ফকিহুন নফস রশিদ আহমাদ গাঙ্গুহি রহঃ
মুফতি আব্দুল ওয়াহহাব রহঃ
পশ্চিমাদের বানানো গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কখনো ইসলাম কায়েম হবে না। যেমনিভাবে কখনো পেশাবের মাধ্যমে ওযু হবে না। মোটকথা, নাপাকের মাধ্যমে যেমনিভাবে, পবিত্রতা হাসিল হবে না তেমনিভাবে, অনৈসলামিক ও পশ্চিমাদের বানানো কুফরী গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেও কখনো ইসলাম কায়েম হবে না। যখন দুনিয়ায় আল্লাহ তায়ালার দ্বীন বিজয়ী হবে তখন তা সেই একটি পদ্ধতিইে হবে যে পদ্ধতি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গ্রহণ করেছেন।
(মুফতি নিযামুদ্দিন শামযায়ী রাহিমাহুল্লাহ)
গণতন্ত্র এমন একটি স্বতন্ত্র মতাদর্শ, জীবনব্যবস্থা তথা দ্বীন যা ইসলামের সাথে মৌলিকভাবে সাংঘর্ষিক। আদর্শিক ও প্রায়োগিকভাবে গণতন্ত্র কুফর ও শিরক। গণতন্ত্রের মাধ্যমে কোনভাবেই ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না।যদিও পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্ষেত্রেবিশেষে তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ গণতন্ত্রকে অনুমোদন দিয়েছেন বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করে, কিন্তু সাধারণত ঐতিহাসিকভাবে উলামায়ে দেওবন্দ গণতন্ত্রের বিরোধিতা করে এসেছেন। Continue reading
বর্তমান ভিসা কি শরয়ী আমান? মুসলিমদের দেশে ভিসা নিয়ে আসা কাফিরদের ব্যাপারে কি ধরা হবে যে তাদেরকে শরয়ী নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে? তাদের রক্ত কি হারাম বিবেচিত হবে? কাফিরদের দেশে ভিসা নিয়ে যাওয়া মুসলিমরা কি সেখানে হামলা করতে পারবেন? ৯/১১ এর মতো হামলা কি জায়েজ বলে গণ্য হবে? এই প্রশ্নগুলোসহ আরো অনেক প্রশ্নের উত্তর পাবেন শাইখ আবু মুহাম্মাদ আইমানের অন্যবদ্য এই রচনায়।
“ভিসার মাসআলাটি একটি আধুনিক মাসআলা। যার ব্যাপারে কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা বা পূর্ববর্তী ফুকাহাদের কোন বক্তব্য নেই। শুধু তাই নয়, কতিপয় সমসাময়িক ফকীহ ভিসাকে আমেরিকায় আক্রমণ পরিচালনার জন্য বাঁধা হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয় বলে ফাতওয়া দিয়েছেন। যেমন শায়খ নাসির আল-ফাহদ (আল্লাহ তাকে কারামুক্ত করুন)
যদিও ইরাক আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আমেরিকা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সাথে আলোচনা করেনি, এবং সাধারন পরিষদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি, তবুও বাস্তবতা হল জাতিসংঘের সাধারন পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদ দুটোই আমেরিকার পরিকল্পন অনুযায়ীই ১৯৪৫ সালে স্থাপিত হয়েছিল। এ গণতন্ত্রকে ঘিরে একটি মিথ্যার পুনরাবৃত্তি করা হয় আর তা হল, মুসলিম উম্মাহ ও দেশগুলোতে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিই হল মুসলিম উম্মাহর তীব্র সমস্যার কারণ।
শায়খ আবু মুহাম্মাদ আইমান
কোনো দলীল ছাড়া কিংবা শরয়ী দলীলের বিরোধিতায় নিজ পিতৃপুরুষ বা পূর্বসূরীদেরকে অন্ধ অনুসরণ করা চরম ভ্রষ্টতা বৈ কিছুই নয়। আর এটাই হলো কাফেরদের গোমরাহী ও কুফুরীর অন্যতম কারণ; তা আজকের হোক কিংবা পূর্বকালের হোক। Continue reading