ফকিহুন নফস রশিদ আহমাদ গাঙ্গুহি রহঃ
মুফতি আব্দুল ওয়াহহাব রহঃ

বর্তমান ভিসা কি শরয়ী আমান? মুসলিমদের দেশে ভিসা নিয়ে আসা কাফিরদের ব্যাপারে কি ধরা হবে যে তাদেরকে শরয়ী নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে? তাদের রক্ত কি হারাম বিবেচিত হবে? কাফিরদের দেশে ভিসা নিয়ে যাওয়া মুসলিমরা কি সেখানে হামলা করতে পারবেন? ৯/১১ এর মতো হামলা কি জায়েজ বলে গণ্য হবে? এই প্রশ্নগুলোসহ আরো অনেক প্রশ্নের উত্তর পাবেন শাইখ আবু মুহাম্মাদ আইমানের অন্যবদ্য এই রচনায়।
“ভিসার মাসআলাটি একটি আধুনিক মাসআলা। যার ব্যাপারে কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা বা পূর্ববর্তী ফুকাহাদের কোন বক্তব্য নেই। শুধু তাই নয়, কতিপয় সমসাময়িক ফকীহ ভিসাকে আমেরিকায় আক্রমণ পরিচালনার জন্য বাঁধা হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয় বলে ফাতওয়া দিয়েছেন। যেমন শায়খ নাসির আল-ফাহদ (আল্লাহ তাকে কারামুক্ত করুন)
তাদের অনেকে আমেরিকায় ৯/১১ আক্রমণের জন্য খুশি হয়েছেন, সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং এ আক্রমণ যে পন্থায় করা হয়েছে, তা জানা সত্ত্বেও যারা এ আক্রমণ পরিচালনা করেছেন তাদের প্রশংসা করেছেন। যেমন শায়খ হামুদ বিন উকলা আশ-শুয়াইবি, শায়খ হুসাইন ওমর ইবনে মাহফুজ, শায়খ আবু মুহাম্মদ আলমাকদিসী, শায়খ আবু কাতাদা ও শায়খ আব্দুল্লাহ আর-রাশুদ।
এটি একটি মতবিরোধপূর্ণ ও গবেষণাগত মাসআলা। যিনি এতে তৃপ্তিবোধ করবেন না, তিনি তা গ্রহণ করবেন না। আর যিনি তৃপ্তিবোধ করবেন, তার জন্য তা গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে।
ফিকহুল জিহাদে ফুকাহায়ে কেরামের এমন অনেক ইখতিলাফের উদাহরণ রয়েছে, যার ফলাফল ব্যাপক। যেমন মুশরিক ও মূর্তিপূজারীদের ব্যাপারে ইখতিলাফ, মুরতাদ নারীকে হত্যার ব্যাপারে ইখতিলাফ এবং এছাড়াও আরো বিভিন্ন মাসআলায় ইখতিলাফ।”
পিডিএফ ডাউনলোড করুন –
(ডাউনলোড না করেও এই লিঙ্ক থেকে পড়া যাবে )
‘বিষয়টি খুবই গুরুত্বর্পূণ, এবং এ ব্যাপারে যথেষ্ট চিন্তা ও গবেষনার প্রয়োজন। এখানে যে বক্তব্যটি পেশ করছি তা মূলত জামায়াতে ইসলামীর সাথে ভালোভাবে যুক্ত দু’জন বিজ্ঞ ব্যক্তির মধ্যকার আলোচনা। তাঁরা জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কেই আলোচনা করেছেন। কিন্তু আমরা মনে করি যে, এি আলোচনাটির পরিধি ব্যাপক। এ বিষয়টি পাকিস্তানের সকল ইসলামী দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ; বরং এক দৃষ্টিকোণ থেকে গোটা পৃথিবীর ইসলামী দলসমূহের সাথেই বিষয়টি জড়িত। তুরস্কে রয়েছে একটি ইসলামী শক্তিশালী দল, তিউনিসিয়ায় ইসলামী একটি দল আধিক্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, এ দিকে মিসরসহ অন্যান্য জায়গায় ইসলামী আন্দোলনের চেষ্ট চলছে। খোদ পাকিস্তানের এক অংশে ইসলামী দলগুলো বেশ শক্তি অর্জন করে ফেলেছে। এজন্য এ প্রশ্নের উপর যথেষ্ট চিন্তা-ভাবনার প্রয়োজন যে, পশ্চিমা গণতন্ত্রের মাধ্যমে (বাহ্যিক কিছু পরিবর্তন এনে ‘ইসলামী গণতন্ত্র’ নাম দিয়ে) কি ইসলামী বিপ্লব (অথবা ইসলামের বিজয়, শরিয়ত প্রতিষ্ঠা, নেযামে মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইত্যাদি) অর্জন করা সম্ভব? এ বিষয়ে আপনিও একটি মন্তব্য বলুন; আমরা ইনশাআল্লাহ ‘আল-বুরহান’-এর আগামী সংখ্যায় এ বিষয়ে আলোচনা করব।’ – ড.মুহাম্মদ আমিন
মুফতি জামিল মাহমুদ
শায়খ আবুন নূর ফিলিস্তিনী হাফিজাহুল্লাহ
আসসালামু আলাইকুম
প্রশ্ন: ইরাকে তাগুত সরকারের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করা এবং তাতে যোগদান করার বিধান কী?
উত্তর:
الحمد لله رب العالمين والصلاة والسلام على خاتم الأنبياء المرسلين و على آله وصحبه ومن تبعهم بإحسان إلى يوم الدين، وبعد
প্রশ্নকারী ভাই, আল্লাহ তাআলা আমাকে আপনাকে তাঁর পছন্দ ও সন্তুষ্টির পথে পরিচালিত করুন। জেনে রাখা দরকার, তাগুত সরকারের অধীনে চাকুরী করা- ইরাকেই হোক বা অন্য কোনো মুসলিম দেশে, যেখানে কুফুরী বিধিবিধান অগ্রাধিারযোগ্য, যার পরিচালনার দায়িত্বও তাদের হাতে; এমতাবস্থায় বিষয়টি তিন বিধানের কোনো একটির বাইরে না। Continue reading
জন্মঃ ১৩৭৯ হিজরি, মিসর
আল্লাহ তাআলা তার উপর নেয়ামত বর্ষণ করুন, তিনি সত্তরের দশক থেকে সালাফি মানহাজের সাথে লেগে ছিলেন।
তিনি মিসরি মাশায়েখদের একটি জামাআতের কাছে ইলম অর্জন করেছিলেন। সে সময় তাঁর দরস সমূহের গুরুত্বপূর্ণ ছিল মাসায়েলে ঈমান ও ই’তেকাদ সম্পর্কিত দরসগুলো। Continue reading
১৯৩৮ সালে মিশরে জন্মগ্রহন করা শায়খুল মাশায়েখ উমার আবদুল রহমান ছিলেন আমাদের সময়কার অন্যতম কিংবদন্তী।
যখন থেকে উম্মাহ আল্লাহর শরিয়াহ, এর উপর আমল করা ছেড়ে দিয়েছের উম্মাহর শত্রুরা ইসলামের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছে। উম্মাহ নানা অত্যাচার অবমাননার স্বীকার হওয়া শুরু করেছে। উম্মাহর এই ক্ষত আরো গভীর হয়েছে যখন এর সর্বোত্তম সন্তানদের এই উম্মাহ ত্যাগ করেছে। উম্মাহর এমনি এক ভুলে যাওয়া গুরাবা ছিলেন তাগুতের কাছে বন্দী সিংহ, ধৈর্যশীল শাইখ উমর আব্দুর রহমান রহঃ Continue reading
মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ
‘যাল্লাত, শুযুযাত, নাওয়াদের’ ইত্যাদি দ্বারা বোঝানো হয়, শরীয়তের কোন সুষ্পষ্ট প্রতিষ্ঠিত বিধানের বিপরীতে, প্রায় সকল ইমামদের মতামতের চেয়ে ভিন্ন ও সাংঘর্ষিক মত প্রদান করা। যেমন, ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। কেও একজন এটাকে মুস্তাহাব বলল। মদ খাওয়া হারাম। কেও একজন, এটাকে জায়েজ বলল। এই ধরণের মতামত যদি কেও দিয়েও থাকেন, সেটা অনুসরণ করা হারাম ও নিকৃষ্ট কাজ। Continue reading
শায়খ আবু মুহাম্মাদ আইমান
কোনো দলীল ছাড়া কিংবা শরয়ী দলীলের বিরোধিতায় নিজ পিতৃপুরুষ বা পূর্বসূরীদেরকে অন্ধ অনুসরণ করা চরম ভ্রষ্টতা বৈ কিছুই নয়। আর এটাই হলো কাফেরদের গোমরাহী ও কুফুরীর অন্যতম কারণ; তা আজকের হোক কিংবা পূর্বকালের হোক। Continue reading
উস্তাদ তারিক মেহান্না
(অনুবাদ কৃতজ্ঞতা- রেইন ড্রপসের সম্মানিত ভাইগণ)
মু’মিন ব্যক্তি হচ্ছে বৃক্ষের মতো; দমকা হাওয়ার সাথে সর্বদা যুদ্ধে লিপ্ত। এই প্রবল বাতাসের ঝাপটার মাঝে বেঁচে থাকতে হলে সে বৃক্ষটির কিছু গুণ থাকা চাই। যেমন, সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে হলে গাছটির বীজ অবশ্যই উর্বর মাটিতে বপন করতে হবে। কুরআনে ঠিক এ কথাটাই বলা আছে: Continue reading
শায়খ আসিম বিন তাহির (হাফিজাহুল্লাহ)
প্রত্যেকের জানা উচিত যে, আল্লাহ তাআলাই প্রতিটি বস্তু ও প্রতিটি জীবের সৃষ্টিকারী ও পালনকারী পরম সত্তা। নামাজ, যাকাত বা অন্য যেকোনো ইবাদতের পূর্বে দৃঢ়তম যে বিষয়টির জ্ঞানার্জন ও প্রয়োগের জন্য আল্লাহ তাআলা আদম সন্তানদেরকে আদেশ করেছেন তা হচ্ছে আল্লাহ তা’আলার একত্ববাদে ঈমান আনয়ন করা এবং অন্য সকল ইলাহকে (অর্থাৎ তাগুতকে) প্রত্যাখান ও অবিশ্বাস করা।
Continue readingশায়খ আসিম বিন তাহির
ঘটনার শুরুটা এভাবেঃ
দুই ডাকাতের দৃষ্টি তাদের শিকারের দিকে। তারা অন্যান্য বাড়িগুলোর থেকে তাদের দৃষ্টিতে অপেক্ষাকৃত সুন্দর একটি বাড়ি বেছে নিয়ে তার দিকে অগ্রসর হল। Continue reading
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্যই। আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর কাছে সাহায্য চাই এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাই। আমরা নিজেদের নফস হতে এবং আমাদের কর্মের খারাপ ফলাফল হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।
যাকে আল্লাহ পথ দেখান তাকে কেউ পথচ্যূত করতে পারে না, এবং যাকে আল্লাহ পথচ্যূত করেন তাকে কেউ পথ দেখাতে পারে না। Continue reading
শায়খ সুলাইমান আল উলওয়ান
প্রশ্নঃ শায়খ, আল্লাহ আপনাকে উত্তম পুরস্কার দান করুন। আজকাল তাকফীর আল মুয়া’ইয়ান [কোন ব্যক্তিকে কাফের ঘোষনা করা] অনেক বেড়ে গেছে। এমনকি কিছু ত্বলিবে ইলম (দীনি শিক্ষার ছাত্র)ও এই কাজে লিপ্ত হচ্ছেন। এছাড়াও কিছু মানুষ সর্বদাই তাকফীরের ব্যাপারে আলোচনায় মগ্ন থাকে। অথচ এদের অনেকেই দ্বীনচর্চার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি?
উত্তরটি দিয়েছেন শায়খ সুলাইমান আল-উলওয়ান (আল্লাহ শায়খকে দ্রুত সৌদি তাগুতদের কারাগার থেকে মুক্তি দান করুন) Continue reading
আলী বিন খুদাইর বিন ফাহাদ আল-খুদাইর। তিনি ১৩৭৪ হিজরীতে রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন। কাসীমে অবস্থিত জামিয়াতুল ইমাম থেকে ১৪০৩ হিজরীতে উসূলুদ – দ্বীনে ডিগ্রী নিয়ে বের হন। Continue reading