ইখওয়ান ও সমমনা দলগুলো মাসলাহাত, আধুনিকায়ন ও বাস্তবমুখী হবার নাম করে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন আক্বিদা ও মানহাজগত বিচ্যুতির স্বাভাবিকীকরন করেছে। প্রয়োজন মতো শারীয়াহর নসের বিকৃতি ও ভুল ব্যাখ্যা করেছে, আর যখন তা যথেষ্ট হয় নি তখন বিভিন্ন বুদ্ধিজাত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষন আর রেটোরিক দিয়ে যা জায়েজ করা দরকার তা জায়েজ করে নিয়েছে। যখনই তাদের এসব কার্যক্রমকে শরীয়াহর মানদণ্ডে বিচার করার চেষ্টা করা হয়েছে তারা বিভিন্ন ভাবে তা এড়িয়ে গেছে। নিজেদের কল্পিত বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষ, “হিকমাহ” আর মাসলাহাতের বুলি আওড়ে অভিযোগকারীকে বোকা, নির্বোধ, বাস্তবজ্ঞান ও কান্ডজ্ঞানহীন প্রমাণে সচেষ্ট হয়েছে।
মানহাজ সংক্রান্ত
সংশয়ঃ শত্রুসংখ্যা মুসলিমদের দ্বিগুণ হলে তাদের মুকাবিলা বৈধ নয়।
মুফতি জামিল মাহমুদ
“কাফিরদের সংখ্যা মুসলিমদের দ্বিগুণ হলে যুদ্ধক্ষেত্রে থেকে পালানো বৈধ। কিন্তু যদি মুসলিমদের সংখ্যা ১২০০০ এর অধিক হয় তাহলে দ্বিগুণ হলেও পালানো বৈধ নয়।”
সংশয়ঃ কুফরে লিপ্ত ব্যক্তির ব্যাখ্যার ওজরকে উপেক্ষা করা
শায়খ আবু কাতাদা আল ফিলিস্তিনি
মাদখালি-মুরজিয়াদের একটি মারাত্মক সংশয়ঃ
“সালাফরা মুতাজিলা শাসকদের তাকফির করেন নি, তাই আল্লাহ’র আইন প্রত্যাখ্যানকারীদেরকেও তাকফির করা যাবে না।”
খাওয়ারিজদের একটি মারাত্মক সংশয়ঃ
“কোনো প্রকার কুফরে আকবার পেলেই তাউইয়িল বা ব্যাখ্যার সুযোগকে অগ্রাহ্য করে ঢালাও তাকফির করতে হবে।” Continue reading
সংশয়ঃ শাসকপন্থী বিখ্যাত আলেমদের বিরোধীতা উচিৎ নয়!
শায়খ আবু কাতাদা আল ফিলিস্তিনি হাফিজাহুল্লাহ
প্রশ্নঃ
অনেক তরুণ (বিশেষত যাদের বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রে সরকারি ও এসব শাসনপন্থী আলেমদের সাথে সম্পর্ক/আন্তরিকতা রয়েছে তারা) বলে যে তোমাদের শায়খ আবু কাতাদা এমন অনেক বিষয় অবতারণা করেন যা আমাদের দেশের ‘আহলুল হল্ল ওয়াল আক্বদ’ তথা কর্তৃত্ববান আলেমদের প্রচলনের পরিপন্থী। Continue reading
মুরজিয়াদের অপকৌশল
আল্লামা সুলাইমান আল উলওয়ান
বর্তমানে লোকদের স্বভাব হয়েছে যে ভিন্নমত পোষনকারীদের খারেজি বলে ঘায়েল করছে। যে ব্যক্তি আমর বিল মারুফ নাহি আনিল মুনকার করতে গেল ব্যাস খারিজি হয়ে গেল, যে মুরতাদদেরকে কাফের বললো সে খারেজি হয়ে গেল, বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী বিকৃতিগ্রস্থদের যারা প্রকাশ করে দিলো খারেজি হয়ে গেল, কেউ ঈমান ভঙ্গের কারণসমূহ নিয়ে আলোচনা করেছেন তো ব্যাস খারেজি আখ্যা পেয়ে যাচ্ছেন। Continue reading
প্রতিরক্ষামূলক ও আক্রমণাত্মক জিহাদের মাঝে পার্থক্য
প্রশ্ন:
প্রতিরক্ষামূলক ও আক্রমণাত্মক জিহাদের মাঝে পার্থক্য কী?
প্রতিরক্ষামূলক জিহাদের জন্য কি ঝাণ্ডা ও ইমাম থাকা শর্ত? Continue reading
আধুনিক মুসলিমদের একটি ভয়াবহ সংশয়ঃ “আলেমদের বিরল ও বিচ্ছিন্ন মতের অনুসরণ….”
মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ
‘যাল্লাত, শুযুযাত, নাওয়াদের’ ইত্যাদি দ্বারা বোঝানো হয়, শরীয়তের কোন সুষ্পষ্ট প্রতিষ্ঠিত বিধানের বিপরীতে, প্রায় সকল ইমামদের মতামতের চেয়ে ভিন্ন ও সাংঘর্ষিক মত প্রদান করা। যেমন, ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। কেও একজন এটাকে মুস্তাহাব বলল। মদ খাওয়া হারাম। কেও একজন, এটাকে জায়েজ বলল। এই ধরণের মতামত যদি কেও দিয়েও থাকেন, সেটা অনুসরণ করা হারাম ও নিকৃষ্ট কাজ। Continue reading
অন্ধ অনুসরণ হতে সাবধান!
শায়খ আবু মুহাম্মাদ আইমান
কোনো দলীল ছাড়া কিংবা শরয়ী দলীলের বিরোধিতায় নিজ পিতৃপুরুষ বা পূর্বসূরীদেরকে অন্ধ অনুসরণ করা চরম ভ্রষ্টতা বৈ কিছুই নয়। আর এটাই হলো কাফেরদের গোমরাহী ও কুফুরীর অন্যতম কারণ; তা আজকের হোক কিংবা পূর্বকালের হোক। Continue reading
পথপ্রদর্শনকারী কিতাব ও সাহায্যকারী তরবারী
কতিপয় আলেমের বিরল ও বিস্ময়কর সংশয়!
শুকনো খেজুর দিয়ে তৈরি গণতন্ত্রের মূর্তি!
আগুন!
শায়খ নাসির বিন হামদ আল ফাহদ
শায়খ সাথে পা ভাজ করে বসলেন। স্বভাবসুলভ গাম্ভীর্যের সাথে আমামাহ ঠিক করলেন। তারপর ধীরে ধীরে তাঁর চারপাশে বসে থাকা ছাত্রদের দিকে এক একে তাকালেন। তাঁরা বসে ছিল স্থির হয়ে, নিবিষ্ট মনে মাটির দিকে চোখ নামিয়ে – যেন তাঁদের মাথায় পাখি বসে আছে, আর একটু নড়াচড়াতেই উড়ে যাবে। শায়খ শুরু করলেনঃ Continue reading
বর্তমান মুসলিমপ্রধাণ রাস্ট্রগুলো দারুল হারব কেন?
ফকিহুন নফস রশিদ আহমাদ গাঙ্গুহি রহঃ
মুফতি আব্দুল ওয়াহহাব রহঃ
ডাউনলোড
অনুবাদকের কথাঃ
দারুল ইসলাম ও দারুল হরবের মাসআলা ইসলামী শরীয়তের একটি বুনিয়াদী মাসআলা যার উপর আরোও অসংখ্য মাসআলার ভিত্তি। ফিকহ তথা ইসলামী আইন শাস্ত্রের প্রায় সকল কিতাবে এর আলোচনা রয়েছে এবং এর উপর ভিত্তি করে অসংখ্য অগণিত মাসআলা বর্ণিত হয়েছে। Continue reading
শরবত ও মিষ্টান্ন!
শায়খ আবু মুহাম্মাদ আইমান
[মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতকে হত্যার অভিযোগে ১৯৮১ সালে শায়খ আবু মুহাম্মাদ আইমান হাফিজাহুল্লাহকে মিসরের তাগুত সরকার কারাগারে বন্দি করে। লাগাতার তিন বছর কারাগারে থাকার পর মুক্তি পান। Continue reading
কখনো ঝরে যেও না!
উস্তাদ তারিক মেহান্না
ডাউনলোড
(অনুবাদ কৃতজ্ঞতা- রেইন ড্রপসের সম্মানিত ভাইগণ)
মু’মিন ব্যক্তি হচ্ছে বৃক্ষের মতো; দমকা হাওয়ার সাথে সর্বদা যুদ্ধে লিপ্ত। এই প্রবল বাতাসের ঝাপটার মাঝে বেঁচে থাকতে হলে সে বৃক্ষটির কিছু গুণ থাকা চাই। যেমন, সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে হলে গাছটির বীজ অবশ্যই উর্বর মাটিতে বপন করতে হবে। কুরআনে ঠিক এ কথাটাই বলা আছে: Continue reading
শায়খ ইবনে বাজ: “কল্পনা বনাম বাস্তবতা!”
শায়খ আবু মুহাম্মাদ আইমান
ডাউনলোড
আমি কিছু মুসলমানকে শায়েখ ইবনে বাজের ফতোয়াকে প্রচার করতে শুনেছি- যিনি মুসলমানদের মসজিদে নামাজ পড়তে আহবান করেন। আবার ইজরাইলের সাথে ব্যবসাসহ অন্যান্য লেন-দেনকে বৈধ সাব্যস্ত করেন।
অতপর আমি ইজরাইলের প্রধানমন্ত্রী ইসহাক রাবীনের পক্ষ থেকে ইবনে বাজকে শুভেচ্ছা প্রদানের কাহিনী ও শুনেছি। আর এই ধরনের ব্যাক্তি থেকে এমন কান্ড প্রকাশ পাওয়ায় আমি তেমন আশ্চর্যও হইনি যেমনটা অনেক মানুষ হয়েছে। কারণ তার ক্ষেত্রেও আমার আদর্শ হল, ব্যাক্তির পদস্খলনকে কখনোই আকড়ে ধরা হবে না; যদিও অনেকেই তাকে বড় মনে করে থাকে। Continue reading
সৌদি প্রশাসন এবং এর প্রতি ইবনে বাজ ও ইবনে উসাইমিনের দৃষ্টিভঙ্গি!
শায়খ আসিম বিন তাহির
ডাউনলোড
প্রশ্নঃ
আসসালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহ,
প্রশ্নকর্তাঃ আমার প্রথম চিঠির উত্তর প্রদানের জন্য আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন,
১) আমি আপনাকে একটি পরামর্শ প্রদান করতে চাই, ইনশা’আল্লাহ এটা আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
Continue reading
কীভাবে বসে থাকা সম্ভব?
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্যই। আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর কাছে সাহায্য চাই এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাই। আমরা নিজেদের নফস হতে এবং আমাদের কর্মের খারাপ ফলাফল হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।
যাকে আল্লাহ পথ দেখান তাকে কেউ পথচ্যূত করতে পারে না, এবং যাকে আল্লাহ পথচ্যূত করেন তাকে কেউ পথ দেখাতে পারে না। Continue reading
সৌদি জাতীয়তাবাদ আমার পদতলে

পিডিএফ ডাউনলোড
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রশংসা সেই মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি যিনি সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান, পরম করুণাময়, ক্ষমাশীল আবার যিনি শাস্তিদানেও কঠোর। তিনিই আমাদের শান্তি ও সুকূনের উৎস। আমাদের সুনিশ্চিত প্রত্যাবর্তন তার কাছেই। তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। Continue reading
নব্য সালাফি ও বনি ইজরায়েলিদের মধ্যকার সাদৃশ্য!
শায়খ খালিদ আল হুসাইনান
কিছু আহলে ইলমের (যেমন আমাদের দেশের সরকারি সালাফি/আহলে হাদিস ‘আলেম’গণ) আকীদার বিষয়ে এবং বিদআতি ও পথভ্রষ্ট দলসমূহের প্রতিবাদ করার বিষয়ে খুব আগ্রহ ও গুরুত্ব।
অপরদিকে তিনি দেখেন, শাসক কুফর, শিরক ও ধর্মত্যাগে লিপ্ত, কিন্তু এতে তিনি স্বীয় দ্বীন ও আকীদার ব্যাপারে গোস্বা ও গায়রত প্রকাশ করেন না। Continue reading
সংশয়ঃ মুফতি তাকি উসমানির দারুল হারব-দারুল ইসলাম সংক্রান্ত সংশয়
মুফতি আব্দুল ওয়াহহাব (দা বা)
দারুল ইসলাম ও দারুল হরবের মাসআলা ইসলামী শরীয়তের একটি বুনিয়াদি মাসআলা যার উপর আরো অসংখ্য মাসআলার ভিত্তি। ‘ফিকহ’ তথা ইসলামী আইন শাস্ত্রের সকল কিতাবেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এর আলোচনা রয়েছে এবং এর উপর ভিত্তি করে অসংখ্য অগণিত মাসআলা বর্ণিত হয়েছে।
সংশয়ঃ শায়খ আবু বকর জাকারিয়ার হাদীসের অর্থ ও জিহাদের সংজ্ঞায় ভ্রান্তি
শায়খ আবু বকর মুহাম্মাদ জাকারিয়ার একটি বয়ান। দেখুনঃ
https://www.youtube.com/
এখানে তিনি ২টি অপব্যখ্যা করেছেন…
এবং, চমৎকারভাবে নিজেকে নিজেই রদ্দ করেছেন… সকল সরকারি সালাফিদের কুযুক্তি তিনি নিজেই রদ্দ করে দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ! Continue reading
সংশয়ঃ খারেজিদের একটি প্রচলিত সংশয় – “যাদের বিরোধিতাকারী অনেক তারাই হকপন্থী”
পথভ্রস্ট খাওয়ারিজ আই এসের একটি অসার বক্তব্যের খন্ডন
শায়খ আবদুল্লাহ আল মুহাইসিনি
খন্ডন করছেন – শাইখ আব্দুল্লাহ আল-মুহাইসিনি হাফিজাহুল্লাহ
.
জামাতুল বাগদাদির সদস্য এবং সমর্থকরা বলেঃ
আইসিস যদি হক্বের উপর না থাকে, তাহলে কেন আল্লাহ-স শত্রু কুফফার আইসিসের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছে। ওয়ারাকা বিন নাওফাল, রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলেছিলেনঃ “ তুমি যে ধরণের বাণী পেয়েছো, এ ধরণের বাণী যখনই কেউ পেয়েছে, তার সাথে শত্রুতা করা হয়েছে”
. Continue reading
প্রচলিত তাবলীগ জামাতের উপর দেওবন্দের ফতোয়া
প্রচলিত তাবলীগ জামাতের উপর দেওবন্দের ফতোয়াঃ (ফতোয়া নং ৬৮৭৮৪)
“দারুল উলুম দেওবন্দের কোন আলিমই তাবলীগ বিরোধী নন। কিন্তু হ্যা, তাবলীগের অনেকে ভুল কথা বলেন এবং চরম ধরনের মত প্রকাশ করেন। যেমনঃ
Continue reading
জিহাদ যখন আমেরিকার জন্য!
জিহাদ যখন আমেরিকার জন্য!
শায়খ নাসির আল ফাহদ (আল্লাহ তাঁর মুক্তি ত্বরান্বিত করুন)
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, এবং শান্তি ও কল্যাণ বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূল(সা), তাঁর পরিবার, তাঁর সাহাবা এবং তাদের উপর যারা তাঁদের অনুসরণ করেন।
সম্প্রতি আমরা ইরাকে ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে জিহাদ এবং সশস্ত্র প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির খবর পেয়েছি।
তাছাড়া এই সশস্ত্র প্রতিরোধ সম্পর্কে সৌদি আরব নামক রাষ্ট্রের অবস্থান দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে গেছে এবং তারা যে ক্রুসেডারদের প্রতিরোধে যে কোন ধরনের সাহায্যকে অপরাধ সাব্যস্ত করছে, সে সম্পর্কেও আমরা অবগত হয়েছি। Continue reading
নব্য সালাফি সম্প্রদায় এবং শায়খ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব (রঃ)’র মানহাজের পার্থক্য
বর্তমান যুগের মুরতাদ শাসকদের ব্যাপারে সরকারি সালাফি / আহলে হাদিস সম্প্রদায় কি শাইখ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব (রঃ) এর অনুসরণ করেন?
নাকি কোন মনগড়া ইরজায়ি আক্বিদা পোষণ করেন?
চলুন, শাইখ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব এর বক্তব্য জেনে আমরা যাচাই করে নেই। Continue reading
ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ? – ৬
ভূমিকা ও প্রথম পর্ব | দ্বিতীয় পর্ব | তৃতীয় পর্ব | চতুর্থ পর্ব | পঞ্চম পর্ব
খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গির রহঃ পৃষ্ঠা ৪৯ এ লিখেছেন-
রাষ্ট্রের বিদ্যমানতা ও রাষ্ট্রপ্রধানের অনুমতি বা নির্দেশ জিহাদের বৈধতার শর্ত বলে উল্লেখ করে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন:
الإمام جنة يقاتل من ورائه
“রাষ্টপ্রধান ঢাল, যাকে সামনে রেখে যুদ্ধ পরিচালিত হবে।”
(ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ, পৃষ্ঠা ৪৯)
ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ? – ৫
ভূমিকা ও প্রথম পর্ব | দ্বিতীয় পর্ব | তৃতীয় পর্ব | চতুর্থ পর্ব
শায়খ খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গির বলেন,
“মদীনার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর নেতৃত্বে মুসলিমগণ অনেক ‘কিতাল’ করেছেন।
যুদ্ধের ময়দান ছাড়া কাফিরদের দেশে যেয়ে গোপনে হত্যা, সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ,বিষপ্রয়োগ কখনোই তিনি করেন নি বা করার অনুমতি দেন নি।”– ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ, পৃষ্ঠা ৪৯
ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ? – ৪
ভূমিকা ও প্রথম পর্ব | দ্বিতীয় পর্ব | তৃতীয় পর্ব
মরহুম শায়খ পৃষ্ঠা ৯ এর শেষে উল্লেখ করেছেন
“যুদ্ধের ক্ষেত্রেও উভয়পক্ষ প্রতিপক্ষের সৈন্য ও নাগরিকদের মধ্যে ভীতিসঞ্চারে সচেষ্ট থাকে। তবে সন্ত্রাসের সাথে যুদ্ধের মৌলিক পার্থক্য হলো, সাধারণ যুদ্ধ ও গেরিলা যুদ্ধ উভয় ক্ষেত্রেরই যোদ্ধারা মূলত যোদ্ধা বা যুদ্ধবিষয়ক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সচেষ্ট থাকে এবং সামরিক বিজয়ই লক্ষ্য থাকে।
পক্ষান্তরে সন্ত্রাসের ক্ষেত্রের সামরিক বিজয় উদ্দেশ্য থাকে না। এক্ষেত্রে মূল উদ্দেশ্যেই হলো সামরিক-অসামরিক নির্বিচারে সকল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে ভীতি সঞ্চারের মাধ্যমে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করা।”
ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ? – ২
ভূমিকা ও প্রথম পর্বের লিঙ্কঃ https://nobodhara.net/2017/07/06/jongibad1/
আলহামদুলিল্লাহ! মরহুম শায়খ খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গির ”ইসলামের নাম জঙ্গিবাদ” নামক বইয়ের প্রথম পরিচ্ছদে (পরিচিতি ও আলোচিত কারণ) শুরুর দিকে সন্ত্রাসের আভিধানিক অর্থ বিশ্লেষণ ও মুসলিম দেশসমূহের উপর মার্কিন-ইজরায়েলি আগ্রাসনের ব্যাপারে চমৎকার কিছু আলোচনা করেছেন।
এবং প্রমাণ করেছেন, সন্ত্রাসের সংজ্ঞা একেক জনের কাছে একেক রকম। যেমন – ইজরায়েলিদের কাছে ফিলিস্তীনিরা সন্ত্রাসী, আবার ফিলিস্তীনিদের কাছে ইজরায়েলিরা সন্ত্রাসী।
Continue reading