ভূমিকাঃ
হাল জমানার নব্য সালাফিরা বলে থাকে, শাসকের বিরোধিতা করাই হচ্ছে খারেজিদের স্বভাব। যারাই শাসকের বিরোধিতা করে তাদেরকে সরকারি সালাফিরা ঢালাও ভাবে খারেজি বলে ফতোয়া দেয়া শুরু করেন…
হোক সে শাসক কাট্টা কাফের কিংবা মুরতাদ…
অথচ, জালিম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ মানেই সেটা খুরুজ নয়। শাসকের বিরোধিতা মানেই খুরুজ নয়, এই সহজ বিষয়টি এসকল জ্ঞানপাপী আলেমরা হয় জানেন না অথবা জেনেও প্রকাশ করেন না।
আহলুস সুন্নাহ’র আলেমদের মতে খাওয়ারিজদের রয়েছে কিছু বিশেষ সিফাত।
শাসকের বিরোধিতা মানেই কেউ খাওয়ারিজ হয়ে গেল এমনটা কখনই নয়…
আর শাসক যদি কাফের হয় তখন বিরোধিতা তো ওয়াজিব…
কিন্তু এখানে আমরা কাফের শাসকদের ব্যাপারে আলোচনা করব না, ইতঃপূর্বে তা বিস্তারিত হয়েছে…
এখানে সরকারি সালাফি ও তাদের ভক্তবৃন্দের জন্য একটি চিত্তাকর্ষক বিষয় নিয়ে আসা হচ্ছে।
মূল অংশঃ
ইমাম আহমাদ ইবনে নসর আল খুজায়ী রহ., আব্বাসিয় খলিফা ওয়াসিক আল আব্বাসির বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ করেন।
আব্বাসিয় খলিফা ওয়াসিক আল আব্বাসি একজন মুসলিম শাসক ছিলেন, তথাপি –
ইমাম আহমদ রহ. খলিফা ওয়াসিক আল আব্বাসীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার কারণে ইমাম আহমদ ইবনে নছর আল খুজায়ী রহ. এর প্রশংসা করেন।
আহমদ ইবনে নাছর রহ. সম্পর্কে আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. বলেন,
“আল্লাহ তাআ’লা তাঁর প্রতি রহম করুন! আল্লাহর জন্য নিজের জান বিলিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর চেয়ে উদার মানুষ আর হতে পারেনা।
তিনি আল্লাহর জন্য নিজের জান বিলিয়ে দিয়েছেন।”
(আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া- ১০/৩০৩)
ডাউনলোডঃ
মহান মুজাহিদ ইমাম আহমাদ বিন নাসর আল খুজা’ঈ সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে এই অসাধারণ লেখাটি পড়ূন… ৮ পৃষ্ঠা মাত্র – http://docdro.id/K40IAYD
.
.
নব্য সালাফিদের নিকট আমাদের প্রশ্ন –
“এখন, শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকে জিহাদ সাব্যস্ত করা এবং শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারীর মৃত্যুকে শহিদি মৃত্যু সাব্যস্ত করা ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহঃও কি খাওয়ারিজ সাব্যস্ত হবেন?”
প্রকৃত মুওয়াহিদ আলেমদের যে যুক্তির উপর ভিত্তি করে আপনারা খারেজি বলে থাকেন, সেই একই যুক্তিতে কি ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহঃ খারেজি হবেন না?