নব্য জাহেলিয়াতের মূর্তিঃ লিবারেলিজম বা উদারনৈতিকতা!

উস্তাদ ইয়াহিয়া আব্দুল হাফিজ

জাহেলি যুগে আরবের মুশরিকরা অসংখ্য মূর্তির উপাসনা করতো। তিনশ ষাটটির মতো মূর্তি তারা বাইতুল্লাহর অভ্যন্তরে এবং এর আশাপাশে স্থাপন করে রেখেছিল। তাদের উপাস্য মূর্তিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় মূর্তিটি ছিল হুবাল। হুবালের পর তাদের কাছে সর্বাধিক জনপ্রিয় ছিল তিনটি নারী মূর্তি – লাত, মানাত ও উযযা।  

বর্তমানেও আমরা দেখতে পাই, আরব্য জাহেলিয়াতের মতো নব্য জাহেলিয়াতেরও তিন মূর্তি রয়েছে। গণতন্ত্র, সেকুলারিজম ও লিবারেলিজম।

জাহেলি যুগে যেমন তখনকার মুশরিকদের আকিদা-বিশ্বাসে লাত, মানাত ও উযযা একটি অপরটির সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ছিল ঠিক তেমন নব্য জাহেলিয়াতের তিন মূর্তিও একটি অপরটির সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। আমাদের আজকের আলোচনা এই ত্রিমূর্তির সর্বশেষটিকে নিয়ে। Continue reading

নব্য জাহেলিয়াতের মূর্তিঃ নারীবাদ

উস্তাদ ইয়াহিয়া আব্দুল হাফিজ

আধুনিক নব্য জাহেলিয়াতের কাঠামোকে যে দর্শনগুলো সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে তার একটি হল ফেমিনিজম বা নারীবাদ। গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, উদারনৈতিকতার (লিবারেলিজম) পাশাপাশি নারীবাদকে এ সময়ের বড় একটি মূর্তি বলা ভুল হবে না।

আধুনিক মানুষের যে ফিতরাতি (প্রাকৃতিক) বিকৃতি ঘটেছে, ন্যায়-অন্যায়, স্বাভাবিক-অস্বাভাবিক, সাদা-কালোর বিবেচনায় আজ যে ওলোটপালোট হয়েছে তার পেছনে নারীবাদের বড় ভূমিকা রয়েছে। Continue reading

৯/১১ হামলার দশ দিক!

উস্তাদ ইয়াহিয়া আব্দুল হাফিজ

গতো বিশ বছরে এমন দুটি ঘটনা ঘটেছে যা সত্যিকার অর্থে যুগান্তকারী। একটি ঘটনা এখনো চলমান – করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী।

অন্য ঘটনাটি হল ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলা। এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় জর্জ বুশ ঘোষণা দেয় ‘ওয়ার অন টেরর’ বা ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’-এর। Continue reading