সাইয়্যিদ কুতুব রহঃ ও ইউসুফ আল-কারদাবি। ইখওয়ানুল মুসলিমীন এবং জামায়াতে ইসলামীর চিন্তাধারার সাথে এ দুটো নাম যুক্ত।
কিন্তু এ দুজনের চিন্তা কি সামঞ্জস্যপূর্ণ? দু’জনের চিন্তা কি মৌলিকভাবে এক, নাকি গুরুতর পার্থক্য বিদ্যমান? ইখওয়ান এবং জামাত কি সাইয়্যিদ কুতুবের চিন্তার অনুসরণ করে? নাকি কারদাবির?
বস্তুত সাইয়্যিদ কুতুবের চিন্তাকে ইখওয়ান-জামাতের সাথে ব্যপকভাবে যুক্ত করা হলেও বর্তমানে এ দুটী দল কোন ভাবেই সাইয়্যিদ কুতুবের চিন্তার অনুসরণ করে না। বরং তাদের ঘোষিত অবস্থান অনুযায়ী সাইয়্যিদ কুতুবের চিন্তা ‘তাকফিরি” এবং “চরমপন্থী”। অন্যদিকে সাইয়্যিদ কুতুবের চিন্তা অনুযায়ী বিচার করলে ইখওয়ান ও জামাত ব্যাপকভাবে জাহেলিয়্যাতের মধ্যে নিমজ্জিত।
বাস্তবতা হল এই যে বর্তমান ইখওয়ান এবং আমাতের আক্বিদা, চিন্তা ও কর্মপদ্ধতি সাইয়্যিদ কুতুবের এবং মাওলানা মওদুদির চিন্তার চাইতেও অধিক প্রভাব বিস্তার করেছে হাসান আল-হুদাইবি, ইউসুফ কারদাবি, রশীদ ঘান্নুশিসহ পরবর্তীতের চিন্তা। এবং এধরনের ব্যক্তির প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে সাইয়্যিদ কুতুব এবং তাঁর চিন্তার সমালোচনায় লিপ্ত হয়েছে, এবং বরাবরের মতোই কারদাবি এক্ষেত্রে অগ্রগামী।
ড. তারিক আব্দুল হালিম তার স্বভাবসুলভ তীক্ষ্ণবুদ্ধি ও অন্তদৃষ্টির সাথে সাইয়ীযদ কুতুবের ব্যাপারে কারদাবির সমালোচনার ব্যবচ্ছেদ করেছেন এবং দেখিয়েছেন বস্তুত যেই অবস্থান কারদাবি চরমপন্থা বলছেন যুগ যুগ ধরে সেটাই আহলুস সুন্নাহর অবস্থান। আর কারদাবির নিজের অবস্থানই ব্যাপকভাবে ইরজাগ্রস্থ। ইখওয়ানুল মুসলিমীন ও জামাতে ইসলামের চিন্তা, আক্বিদা ও পদ্ধতিগত বিপর্যয়ের উৎস ও ধরন বোঝার জন্য এ সংক্ষিপ্ত আলোচনা অবশ্য পাঠ্য।