পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন
আস সালামু আলাইকুম, আপনার উপর আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক
সম্মানিত শায়খ, ভিসা কি শার’ঈ আমান (নিরাপত্তা চুক্তি) হিসেবে গণ্য হবে? যদি ভিসা শার’ঈ আমান হিসেবে গণ্য হয় তাহলে যেসব মুজাহিদীন অ্যামেরিকার টুইন টাওয়ারে হামলা চালিয়েছেন তারা কি শার’ই চুক্তি ভঙ্গকারী হিসেবে গণ্য হবেন?
উত্তরঃ আস সালামু আলাইকুম, আপনার উপর আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক
‘আম্মা বা’আদ – ভিসা শার’ঈ আমান (নিরাপত্তা চুক্তি) হিসেবে গণ্য হবে কারন এটাই বর্তমানে প্রচলিত প্রথা। আর এ চুক্তি মেনে চলা আবশ্যক। ভিসা নিয়ে কাফিরদের ভূমিতে প্রবেশ করা যেকোন ব্যক্তি কার্যত ঐ ভূমির কাফিরদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে, এমনকি যদি সেটা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত কাফিরদের রাষ্ট্রও হয়। অতএব এমন ব্যক্তির জন্য এ চুক্তির পর তাদের সাথে প্রতারণা করা কিংবা তাদের জান-মালের ক্ষতি সাধন করা বৈধ না। যে চুক্তি করার পরও এমন কাজ করবে সে আল্লাহর শাস্তির আশংকার প্রতি নিজেকে উন্মুক্ত করে দেবে।
সেপ্টেম্বর ১১ এর অভিযানগুলোর ব্যাপারে অবস্থান হল- সেগুলো সঠিক ও জায়েজ ছিল। কারন অ্যামেরিকা হল বর্তমান সময়ে কুফরের মাথা, এবং যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ﷺ সর্বাধিক গুরুতর পর্যায়ের অবমাননা করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত রয়েছে ও তাদের মধ্যে সর্বনিকৃষ্ট। অ্যামেরিকা সামষ্টিকভাবে একটি সত্ত্বা হিসেবে গণ্য হবে, কারন অ্যামেরিকার জনগণের সমর্থন ছাড়া প্রেসিডেন্ট, পেন্টাগন কিংবা আর্মি – কারোরই কোন একচ্ছত্র কর্তৃত্ব নেই, সক্ষমতা নেই।
যদি তারা (প্রেসিডেন্ট, পেন্টাগন কিংবা আর্মি) কোন পলিসির ক্ষেত্রে জনগণের খেয়ালখুশির সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে যায় তাহলে জনগন তাদের ক্ষমতাচ্যুত করবে। আর এটি সর্বজনবিদিত। রাষ্ট্রের উপর সরকারের কোন মনোপলি বা একচেটিয়া নিয়ন্ত্রন নেই। রাষ্ট্র জনগণের সামষ্টিক মালিকানার অধীন যেখানে তাদের প্রত্যেকের অংশীদারিত্ব আছে। যদি আপনি এ সত্য সম্পর্কে অবগত হন তাহলে আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে যে সামষ্টিকভাবে তারা সকলে (অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট, পেন্টাগন, আর্মি, জনগণ ইত্যাদি) আইনগতভাবে একটি অভিন্ন সত্ত্বা (a single juridical person) বলে পরিগণিত হবে।
এবং সামষ্টিকভাবে তাদের অবস্থা কা’ব ইবন আল-আশরাফ-এর অনুরূপ যাকে হত্যা করতে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাহরীদ ও নির্দেশ দিয়েছিলেন। সাহাবী মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা রাঃ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কা’বকে বোকা বানিয়ে হত্যা করেছিলেন। তিনি বাহ্যিকভাবে কা’বকে আমান (নিরাপত্তার নিশ্চয়তা, চুক্তি) দিয়েছিলেন, কিন্তু আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ﷺ অবমাননার অপরাধে পরবর্তীতে তাকে হত্যা করেছিলেন। কা’ব এর অপরাধ নিছক মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত থাকার চাইতে গুরুতর ছিল। কা’ব ইবন আল-আশরাফের বিরুদ্ধে প্রতারণা বা কৌশল অবলম্বনের কারন ছিল আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ﷺ অবমাননা করা ও চরম সীমালঙ্ঘন। নিছক যুদ্ধরত হবার কারনে তার বিরুদ্ধে এ ধরণের কৌশলের আশ্রয় নেয়া হয়নি।
আর বর্তমানে অ্যামেরিকার অবস্থা কা’ব ইবন আল-আশরাফের মতোই। অ্যামেরিকা কেবলমাত্র যুদ্ধরত কাফির না, বরং সে হল এ যুগে কুফরের ইমাম, আল্লাহ, তাঁর রাসূল ﷺ ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে যার অবমাননা ও সীমালঙ্ঘন অত্যন্ত চরম মাত্রায় পৌছে গেছে।
শায়খ আল-ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ তার কিতাব আস-সরিমুল মাসলুল ‘আলা শাতিম আর-রাসূল এর খন্ড ২, পৃষ্ঠা ১৭৯ এ বলেছেনঃ
“যে পাচজন মুসলিম তাকে (কা’ব) হত্যা করেছিলেন – মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা, আবু না’ইলাহ, আব্বাদ ইবন বিশর, আল-হারিস ইবন আওস এবং আবু আব্বাস ইবন জাবির – রাসূলুল্লাহ ﷺ তাদেরকে অনুমতি দিয়েছিলেন কা’ব ইবন আল-আশরাফকে হত্যা করার। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁদের অনুমতি দিয়েছিলেন – এমন কথার মাধ্যমে কা’বকে ধোঁকা দেওয়ার যাতে করে সে মনে করে তাকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে ও তারা (উক্ত পাচজন সাহাবী) রাসূলুল্লাহর ﷺ ব্যাপারে তার সাথে একমত – এবং তারপর তাকে হত্যা করার।
যে ব্যক্তি কোন কাফিরকে প্রকাশ্যে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা (আমান) দেবে তার জন্য ঐ নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত কাফিরকে তার কুফরের জন্য হত্যা করা বৈধ না – একথা জ্ঞাত। বস্তুত যখন কোন যুদ্ধরত কাফির বিশ্বাস করে যে কোন মুসলিম তাকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে এবং একথা তার কাছে ব্যক্ত করেছে, তখন সে একজন মুস্তা’মিনে (সাময়িক নিরাপত্তা প্রাপ্ত/রক্ষাপত্র) পরিণত হত।”
অতঃপর ইবনু তাইমিয়্যাহ মুস্তা’মিনকে হত্যার নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে দলিলাদি উল্লেখ করেছেন। তারপর তিনি বলেছেনঃ
“আল-খাত্তাবি যুক্তি দেখিয়েছেন সাহাবীগণ রাঃ কা’বকে হত্যা করেছিলেন কারন কা’ব এ ঘটনার আগে কৃত চুক্তি ভঙ্গ করেছিল (আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবমাননার মাধ্যমে) এবং তাকে হত্যার সময় তার কোন নিরাপত্তার চুক্তি ছিল না। আল-খাত্তাবি আরো দাবি করেছেন চুক্তিবদ্ধ না এমন কাফিরকে এভাবে হত্যা করা বৈধ, ঠিক যেমন রাত্রিকালীন হামলা কিংবা শত্রুর উপর অতর্কীতে হামলা করা বৈধ।
কিন্তু এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে যে, সাহাবী মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা রাঃ তাকে যে আশ্বাস দিয়েছিলেন তার দ্বারা কা’ব মুস্তা’মিনে পরিণত হয়েছে। নিদেনপক্ষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তার অনুরূপ আশ্বাস তাকে দেওয়া হয়েছিল; আর এধরনের নিশ্চয়তা প্রাপ্ত ব্যক্তিকে কেবলমাত্র তার কুফরের কারনে হত্যা করা জায়েজ না।
কারন আমান (নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বা চুক্তি) শত্রুর জীবনের নিরাপত্তা দেয় আর এর (আমানের) চাইতে কমেও সে মুস্তা’মিনে পরিণত হয়, আর এ বিষয়গুলো সুবিদিত যেমনটা ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু কা’বকে তার কুফরের কারনে নয়, বরং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ﷺ ব্যাপারে ব্যাঙ্গ-বিদ্রূপ এবং অবমাননার করা কারনেই হত্যা করা হয়েছিল। এমন সকল ব্যক্তি – যাদের রক্ত উক্ত কারনে হালাল হয়ে গেছে – কোন চুক্তি কিংবা আমানের মাধ্যমে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে না। যদি কোন মুসলিম এমন কোন ব্যক্তিকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা কিংবা আমান দেয় যার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্য – যেমন একজন ডাকাত (highway robber), অথবা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ﷺ বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ব্যক্তি, অথবা এমন ব্যক্তি যে যমীনে এমন ফাসাদ ছড়ায় যার কারনে তাকে হত্যা করা বৈধ হয়ে যায়, অথবা যিনার কারনে যার উপর রযমের বিধান প্রযোজ্য হয়ে গেছে এমন ব্যক্তি, অথবা রিদ্দার কারনে যার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্য এমন ব্যক্তি, অথবা দ্বীনের কোন স্তম্ভ অস্বীকার করার কারনে যাকে হত্যা করা বৈধ এমন ব্যক্তি – তাহলে যেমন সেই আমান বা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বৈধ না, এক্ষেত্রেই ব্যাপারটি অনুরূপ।”
ইবনুল ক্বাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ আহকাম আহলুয-যিম্মায় একই রকম মতব্যক্ত করেছেন। এখানে পয়েন্ট হল যুদ্ধরত কাফিরদের মধ্যে একটি বিশেষ শ্রেনী আছে যারা কা’ব ইবন আল-আশরাফের মতো। এধরনের কাফিরদের আমান বা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েও ধোঁকা দেওয়া যাবে, যেমনটা রাসূলুল্লাহ ﷺ ও সাহাবীগণ রাঃ কা’বের ক্ষেত্রে করেছেন, এবং যেমনটা মুজাহিদিন সেপ্টেম্বরের অভিযানগুলোর ক্ষেত্রে করেছেন।
অনেকে মাঠে নেমে সবুজ ঘাসের আশায় অনেক দূর এগিয়ে যায়। এগোতে গিয়ে হারিয়ে যায়। অনেকে বলেন মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাঃ কা’ব ইবন আল-আশরাফের সামনে আপাতভাবে কুফর প্রদর্শন করেছিলেন। সুতরাং এ থেকে বলা যেতে পারে যে এরকম ক্ষেত্রে উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বাহ্যিকভাবে কুফর প্রদর্শন করা জায়েজ। তারা আরো এগিয়ে এও বলেন যে, এ থেকে বলা যায় – “কা’বের হত্যাকারী সাহাবীগণ রাঃ কা’বকে যে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছিলেন তা আদতে (শার’ই) নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বা আমান হিসেবে গণ্য হবে না কারন তারা তো নিজেদের কাফির হিসেবে উপস্থাপন করছিলেন”। তিনি এ অবস্থান উসুলের দিক থেকে এবং প্রায়োগিক দিক থেকে বাতিল।
দুধরনের মানুষ এ বিষয়ে ভুল করে থাকেন।
একটি শ্রেণী হল যারা কাফিরকে দেওয়া মুসলিমের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিকে কোন গুরুত্বই দেন না। তারা মনে করেন জানমালের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও একজন মুসলিম প্রতিশ্রুতিপ্রাপ্ত কাফিরকে ধোঁকা দিতে পারে।
অপর শ্রেনী নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি বা আমানের ক্ষেত্রে সব কাফিরকে একই পাল্লায় মাপেন। যারা কুফরের ইমাম এবং যারা আল্লাহ ও রাসূলকে ﷺ নিকৃষ্ট ভাবে অবমাননা করেছে তারা তাদের অবস্থা সাধারন কাফিরদের সমতুল্য বা অনুরূপ মনে করেন।
আস সরিমুল মাসলুল ‘আলা শাতিম আর-রাসূল কিতাবে শায়খ আল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ চুক্তি ও নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে কাফিরদের বিভিন্ন শ্রেনীর মধ্যে পার্থক্য করেছেন। তিনি বলেছেনঃ
“তিনি ﷺ যারা নিছক চুক্তি ভঙ্গকারী কাফির আর যারা চুক্তিভঙ্গের পাশাপাশি মুসলিমদের অবমাননা করেছে, তাদের মধ্যে পার্থক্য করেছেন। যখনই মুসলিমদের সাথে চুক্তিবদ্ধ কোন কাফির কর্তৃক মুসলিমদের অবমাননার খবর তার ﷺ কাছে পৌঁছেছে, তিনি কাউকে না কাউকে সেই অবমাননাকারীকে হত্যার দায়িত্বে নিযুক্ত করেছেন। অথচ যারা শুধু চুক্তি ভঙ্গ করেছে তাদের অনেককে তিনি কেবল নির্বাসিত করেছেন, অথবা ক্ষমা করে দিয়েছেন। একইভাবে সাহাবীগণও দামাস্কাসের কাফিরদের সাথে চুক্তি করেছিলেন। কাফিররা চুক্তিভঙ্গ করায় তারা তাঁদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে দ্বিতীয় বা তৃতীয়বারও ঐ কাফিরদের সাথে চুক্তি করেছিলেন। অনুরূপ ঘটনা ঘটেছিল মিসরবাসীর সাথেও। কিন্তু যখনই সাহাবীগণ রাঃ আমানপ্রাপ্ত এমন কোন কাফিরকে পরাজিত করেছেন যে ইসলামের ব্যাপারে কুৎসা রটনা করেছে, কোন মুসলিম নারীর সাথে যিনা করেছে অথবা অনুরূপ কোন সীমালঙ্ঘন করেছেন, তারা তাকে হত্যা করেছেন। কোন ব্যতিক্রম ছাড়াই এধরনের কাফিরদের হত্যা করার ব্যাপারটি বিশেষভাবে আদেশ করা হয়েছে। আর এটি সুবিদিত যে রাসূলুল্লাহর ﷺ সাহাবীগণ রাঃ সাধারন কাফির আর এধরনের কাফিরদের মধ্যে পার্থক্য করেছেন।”[1]
কেউ হয়তো প্রশ্ন করতে পারেঃ কা’ব ইবন আল-আশরাফের ঘটনা হল এমন এক ব্যক্তির কথা যার সাথে মুসলিমদের চুক্তি ছিল। যখন সে এই চুক্তি ভঙ্গ করলো (অবমাননা, ব্যাঙ্গোক্তি ও কুৎসার মাধ্যমে) তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে ধোকা দিয়ে হত্যা করার জন্য কাউকে প্রেরণ করলেন। কিন্তু আমরা বর্তমানে যাদের কথা বলছি এরা তো শুরু থেকেই মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত। যাদের সাথে মুসলিমদের কোন চুক্তিই নেই। তাহলে কী করে আপনি এমন কাফিরদের ধোঁকা দিয়ে তাঁদের ভূমিতে প্রবেশ করে তাদের হত্যা করাকে জায়েজ মনে করেন?
এর জবাব হলঃ
ক) ইবনু তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ তার আলোচনায় সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করেছেন চুক্তি ভঙ্গ করার জন্য কা’ব ইবন আল-আশরাফকে হত্যা করা হয় নি। তাকে হত্যা করা হয়েছিল কারন সে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য অন্যান্য কাফিরদের উত্তেজিত করছিল, মুসলিমদের ব্যাপারে কুৎসা রটাচ্ছিল, মুসলিমদের নারীদের সম্মানহানি করছিল।
খ) রাসূলুল্লাহ ﷺ এমন কাফিরদের ধোঁকা দিয়ে হত্যা করার জন্য সাহাবীদের রাঃ পাঠিয়েছিলেন যাদের সাথে তার ﷺ কোন ধরনের চুক্তিতে ছিল না, কিন্তু যারা তার ﷺ বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য ও তাকে ﷺ হত্যার জন্য অন্যান্যদের উদ্দীপ্ত করছিল। এর উদাহরন হল আবু রাফে ইবন আবি আল হুক্বাইক এর ঘটনা, খালিদ ইবন সুফিয়ান আল-হুদ্বালির ঘটনা এবং ইহুদী ইয়াসির ইবন রাযযাম এর ঘটনা। আব্দুল্লাহ ইবন রাওয়াহাহ রাঃ ইহুদী ইয়াসির ইবন রাযযামকে ফাঁদে ফেলে, ধোঁকা দিয়ে তাকে ও তার ৩০ জন সঙ্গীকে হত্যা করেছিল। খালিদ ইবন সুফিয়ান আল-হুদ্বালি আর ইহুদি ইয়াসির ইবন রাযযাম এর ঘটনা পরে আলোচিত হবে। আমি এখানে আবু রাফে’র ঘটনা উল্লেখ করছি।
—
[1] আস সরিমুল মাসলুল ‘আলা শাতিম আর-রাসূল, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৫৫২, ও খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ৭৬৯, ৭৮৬। এবং আহকাম আহলুয যিম্মা, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ১৪৩৮-১৪৪১
জাজাকাল্লাহ খাইরান।অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট। এই বিষয়টা আমাকে অনেক দিন ধরে ভাবাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত এর পরিপূর্ণ উত্তরটা পেলাম আলহামদুলিল্লাহ।