পশ্চিমাদের বানানো গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কখনো ইসলাম কায়েম হবে না। যেমনিভাবে কখনো পেশাবের মাধ্যমে ওযু হবে না। মোটকথা, নাপাকের মাধ্যমে যেমনিভাবে, পবিত্রতা হাসিল হবে না তেমনিভাবে, অনৈসলামিক ও পশ্চিমাদের বানানো কুফরী গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেও কখনো ইসলাম কায়েম হবে না। যখন দুনিয়ায় আল্লাহ তায়ালার দ্বীন বিজয়ী হবে তখন তা সেই একটি পদ্ধতিইে হবে যে পদ্ধতি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গ্রহণ করেছেন।
(মুফতি নিযামুদ্দিন শামযায়ী রাহিমাহুল্লাহ)
গণতন্ত্র এমন একটি স্বতন্ত্র মতাদর্শ, জীবনব্যবস্থা তথা দ্বীন যা ইসলামের সাথে মৌলিকভাবে সাংঘর্ষিক। আদর্শিক ও প্রায়োগিকভাবে গণতন্ত্র কুফর ও শিরক। গণতন্ত্রের মাধ্যমে কোনভাবেই ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না।যদিও পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্ষেত্রেবিশেষে তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ গণতন্ত্রকে অনুমোদন দিয়েছেন বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করে, কিন্তু সাধারণত ঐতিহাসিকভাবে উলামায়ে দেওবন্দ গণতন্ত্রের বিরোধিতা করে এসেছেন। আর যেসব পরিস্থিতিতে বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করা শর্তসাপেক্ষে কেউ কেউ গণতন্ত্রকে বৈধতা দিয়েছিলেন, কোন ক্ষেত্রেই গণতন্ত্রের মাধ্যমে সেই স্বার্থগুলো রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। সুতরাং নিজ সময়ের প্রেক্ষাপটে তাঁদের কাছে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে তাঁরা সঠিক সিদ্ধান্তই নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু বর্তমানে এবিষয়টি সকলের কাছেই স্পষ্ট হয়ে গেছে যে কোন সাময়িক এবং সীমিত স্বার্থ অর্জনের জন্যও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা অর্থহীন, এবং দীর্ঘমেয়াদে চরম ক্ষতির কারণ।
দুঃখজনকভাবে সত্যপথ থেকে বিচ্যুত, ইরজা ও আপোসকামিতা দ্বারা কলুষিত এবং চিন্তার দিক দিয়ে বিভ্রান্ত নব্য দেওবন্দিরা গণতন্ত্রকে উলামায়ে দেওবন্দের সাথে সম্পৃক্ত করতে চাচ্ছে। উলামায়ে দেওবন্দকে অজুহাত হিসাবে দাড় করিয়ে বৈধতা দিতে চাচ্ছে গণতন্ত্রের পদ্ধতি গ্রহণের। তাদের নানা ধরণের হেয়ালিপূর্ণ কথার ফুলঝুড়িতে কিছু ভাইদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ বিভ্রান্তি ও ধোঁয়াশা দূর করার জন্য গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে উলামায়ে দেওবন্দের বিভিন উক্তির সংকলন করা হয়েছে এই পুস্তিকায়। আশা করি আগ্রহী পাঠক এ থেকে উপকৃত হবেন।