শায়খ তারিক আব্দুল হালিম
পিডিএফ ডাউনলোড করুন
আমি জানি, আমার এই গবেষণাটি এমন সময় সামনে এসেছে, যখন মানুষের মাঝে বিচিত্রসব ধ্যান-ধারণা ছড়িয়ে আছে।
কেউ ঈমান-কুফরের সাথে সম্পর্কিত ফিকহের বিধি-বিধানের গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকে।আর কেউ কেউ শরীয়তের লাগাম থেকে মুক্ত হয়ে নিজ প্রয়োজন ও প্রবৃত্তি অনুসারে বিচার করে। আবার পরাজিত মানষিকতা ও হীনমন্যতা অনেককে সুনির্দিষ্ট বিশেষ কোন মতামত গ্রহণ করতে বাধ্য ও প্ররোচিত করে। যেমন ডুবন্ত মানুষ ভেসে যাওয়া খড়কুটো আকড়ে ধরে।
আমি এটাও জানি যে, অনেকের উপরই এ প্রবন্ধটি প্রভাব ফেলবে। কেউ আদবের সাথে জবাব দেবে আর কেউ গালিগালাজ ও বিদ্রুপ করবে। এটা প্রত্যেকের মৌলিক প্রকৃতি, বেড়ে উঠা, ইলম ও কোন জামাআতের সাথে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে, তার উপর নির্ভর করে।
কিন্তু এতদসত্ত্বেও আমি এর এমন ইলমী জবাব ও খণ্ডন দেখার আশা করি যা পয়েন্ট টু পয়েন্ট দলিলের ভিত্তিতে হবে। যেমনটা আমি কোন কোন গবেষকের লেখাতে শরীয়ত বিরোধী কিছু দেখতে পেলে তার জবাব লেখার ক্ষেত্রে করে থাকি।
যে সকল বিষয়গুলো ব্যাপকভাবে সকল মানুষকে এবং বিশেষভাবে মুজাহিদগণকে ভাবিয়ে তুলেছে, তার মধ্যে অন্যতম হল রজব তাইয়েব এরদোগান। কেউ তার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে তাকে যুগের বাদশা ও যামানার খলিফা বানিয়ে ফেলেছে। তার মাঝে দেখতে পেয়েছে মুসলমানদের শক্তি ও সম্মান। কেউ মাঝামাঝি আছে, তারা বলে: সে মুসলিম, তাই তার সাহায্য-সহযোগীতা করা যায়। অপরদিকে কেউ বলে: সে কাফের, মুসলিম নয়। কাট্টা ধর্মনিরপেক্ষ। এরদোগান ধর্মনিরপেক্ষতার আলোকে শাসনকার্য পরিচালনা করে এবং ধর্মনিরপেক্ষতাকে সম্মান করে। তাই তার সাথে মুসলমানের অনুরূপ মুআমালা করা জায়েজ নেই।
আসলে, কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির ব্যাপারে কুফরীর কথা বলা আমার নিজের কাছে একটি অপছন্দনীয় বিষয়। কিন্তু যখন এমন কোন বাস্তব কারণ পাওয়া যায়, যা এই সিদ্ধান্ত অনুসন্ধান ও প্রকাশ করা আবশ্যিক করে তুলে, তখন আর উপায় থাকে না। তাকফির কোন শখের বিষয় নয়, যা দ্বারা কেউ তৃপ্তি মিটাবে। বরং এটা হল কেউ আল্লাহর রহমত থেকে বের হয়ে যাওয়া এবং তার স্থায়ী আযাবে নিপতিত হওয়ার ব্যাপারে ফায়সালা। যে এর হাকিকত বুঝে, তার নিকট এটা সবচেয়ে ভয়ংকর ও কঠিন বিষয়।
যে বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলছি, তা অত্যন্ত জটিল বিষয়। কেউ এ বিষয়ে ফাতওয়া দিতে চাইলে তার উপর অবশ্য কর্তব্য হল, এর শাখাগত মাসআলাগুলো অনুসন্ধান করা, তার সূত্র ও দলিলগুলো যাচাই করা এবং তার ভিত্তিতে সঠিক হুকুম প্রয়োগ করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা-সামর্থ্য ব্যায় করা। শুধু সাধারণভাবে বর্ণিত হুকুমগুলো আরোপ করে দেয়াই যথেষ্ট নয়। চাই তাকফীরের বিষয়ে হোক অথবা অন্য কোন বিষয়ে হোক।
এখানে ফায়সালার মূল পয়েন্ট হল:
ইসলাম ধর্মে কি এমনটা আদৌ জায়েয আছে যে, আল্লাহ ও তার রাসূলের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয় এবং ইসলামের কিছু কিছু নিদর্শন ও বিধি-বিধানও বাস্তবায়ন করে, এমন ব্যক্তিকে তাকে কাফের আখ্যায়িত করা হবে?
বর্তমানে বিভ্রান্তি তৈরি করা একটি বিষয় নিয়ে শাইখ ড. তারিক আবদুল হালিমের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। অবশ্য পাঠ্য। অনুবাদ করেছেন মুফতি আনাস আব্দুল্লাহ দাঃ বাঃ
ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন নিচের যেকোন একটিতে
(তৃতীয় লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড না করে অনলাইন থেকেও পড়া যাবে)