তাওহিদঃ সকল মূলনীতির চূড়ান্ত মূলনীতি!

শায়খ আবু মুহাম্মাদ আল মাকদিসি

পিডিএফ ডাউনলোড করুন

ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন 

তাওহিদের গুরুত্বের কারণে এবং যেহেতু তাওহিদই আমাদের নিকট সর্বপ্রথম ও সার্বক্ষণিক, তাই আমরা আরেকবার এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে,

আমরা নবী ﷺ এর অনুসরণ করত: তাওহিদের বিষয় বারবার গুরুত্ব সহকারে বলার কারণে কতিপয় লোক আমাদেরকে তা থেকে ফিরানোর হীন চেষ্টা করছে।

তাদের দাবি হল, উম্মাহ মুওয়াহহিদ(তাওহিদে বিশ্বাসী), তাই তাদেরকে তাওহিদের দাওয়াত দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

কোন সন্দেহ নেই যে, এই প্রলাপ বাক্যই একটি গুরুত্ব সৃষ্টিকারী, যা অনেক দায়ি ও মুজাহিদদের জন্য তাওহিদ পর্যালোচনা করা, বোঝা ও তার বিপরীত শিরকগুলো জানার প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে দেয়।

বিশেষ করে সমকালীন বিভিন্ন শিরকের স্বরূপ, যা বর্তমানে আমাদের ব্যক্তি ও সমাজের মধ্য ছড়িয়ে পড়েছে।

শুধুমাত্র দুই প্রকার ব্যক্তিই এর গুরুত্বকে খাটো করে দেখতে পারে:

এক. তাওহিদের প্রকৃত তত্ত্ব ও ইসলাম ধর্মে তার উচ্চ মর্যাদার ব্যাপারে অজ্ঞ ব্যক্তি।

দুই. চলমান বাস্তবতা সম্পর্কে অজ্ঞ ব্যক্তি, যে মানুষ, সমাজ ও সমাজের মাঝে যে তাওহিদ বিরোধী আধুনিক শিরকসমূহ ছড়িয়ে আছে, তার সম্পর্কে জানে না।

তাওহিদের প্রকৃত তত্ত্ব ও ইসলামে তার উচ্চ মর্যাদা সম্পর্কে আমরা সর্বদাই বলে থাকি। পূর্বেও অনেক বার, বারবার এব্যাপারে আলোচনা করেছি, কথা বলেছি এবং অব্যাহতভাবে বলবো ইংশাআল্লাহ।

আমরা পূর্বে আলোচনা করেছি যে, তাওহিদ হল দ্বীনের সকল মূলনীতির মূলনীতি এবং তার সুদৃঢ় স্তম্ভ, যা ব্যতিত ইসলাম দাঁড়াতেই পারবে না।

তাই এটা ব্যতিত আমল, ইবাদত, কুরবানী, দাওয়াত, জিহাদ ও অন্য কোন কিছুই গ্রহণযোগ্য হবে না।

আল্লাহ তাআলা মানবজাতির শ্রেষ্ঠ জামাত নবীদের সম্পর্কে বলেন:

ذَٰلِكَ هُدَى ٱللَّهِ يَهْدِى بِهِۦ مَن يَشَآءُ مِنْ عِبَادِهِۦۚ وَلَوْ أَشْرَكُوا۟ لَحَبِطَ عَنْهُم مَّا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ

“এটা আল্লাহ প্রদত্ত হিদায়াত, যার মাধ্যমে তিনি বান্দাদের মধ্য হতে যাকে চান সরল পথে পৌঁছে দেন। তারা যদি শিরক করত, তবে তাদের সমস্ত (সৎ) কর্ম নিষ্ফল হয়ে যেত।”

যারা তাওহিদ বিশ্বাস করা ব্যতিত আমল করত, তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন:

وَقَدِمْنَآ إِلَىٰ مَا عَمِلُوا۟ مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنَٰهُ هَبَآءً مَّنثُورًا

“তারা (দুনিয়ায়) যা কিছু আমল করেছে, আমি তার ফায়সালা করতে আসব এবং সেগুলোকে শুণ্যে বিক্ষিপ্ত ধুলোবালি (-এর মত মূল্যহীন) করে দিব।”

তাওহিদ ব্যতিত না মুক্তি মিলবে এবং না আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাতে পৌঁছা সম্ভব হবে। তাই এটা হল সুদৃঢ় হাতল, যার সাথে আল্লাহ মুক্তিকে সম্পৃক্ত করেছেন।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন:

لَآ إِكْرَاهَ فِى ٱلدِّينِۖ قَد تَّبَيَّنَ ٱلرُّشْدُ مِنَ ٱلْغَىِّۚ فَمَن يَكْفُرْ بِٱلطَّٰغُوتِ وَيُؤْمِنۢ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱسْتَمْسَكَ بِٱلْعُرْوَةِ ٱلْوُثْقَىٰ لَا ٱنفِصَامَ لَهَاۗ

“দ্বীনের বিষয়ে কোন জবরদস্তি নেই। হিদায়াতের পথ গোমরাহী থেকে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। এর পর যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে, সে এক মজবুত হাতল আঁকড়ে ধরল, যা ভেঙ্গে যাওয়ার কোন আশঙ্কা নেই।”

বর্তমানে অনেক মানুষ যে তাওহিদ ভঙ্গকারী বিষয়সমূহে লিপ্ত, মজবুত হাতলের ব্যাপারে অজ্ঞ, সংশয়গ্রস্ত অথবা অতিরঞ্জন ও শিথিলতার মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে তা বোঝার জন্য একজন ব্যক্তির ঐ সকল আলেমদের কথা চিন্তা করাই যথেষ্ট, যারা নিজেরা পথভ্রষ্ট হয়ে অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ট করেছে, তাগুতদের ধর্মে নিজেরা গ্রহণ করে অন্যদেরকেও তা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান করছে।

আর যারা এই তাগুতদের ধর্ম থেকে বের হয়ে যাচ্ছে তাদেরকে খারেজী, সন্ত্রাসী অপবাদ দিচ্ছে এবং এর উপর ভিত্তি করে ফাতওয়া দিচ্ছে:

“তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা, তাদেরকে কারারুদ্ধ করা ও নিশ্চিহ্ন করা ওয়াজিব”।

মুরজিয়া, মাদখালী ও জামি গোষ্ঠীগুলোর দিকে তাকালেও যথেষ্ট হবে, কিভাবে তারা তাগুতদের ধর্ম গ্রহণ করেছে, তাদেরকে বায়আত দিয়েছে, নিজেদের পাগলামীর ফসল তাদের ঘরে তুলছে। ফলে তারা তাদের অনুগত সৈনিক ও একনিষ্ঠ গুপ্তচরে পরিণত হয়েছে।

এমনকি তাদের অনেকে তাগুতদের সিংহাসন রক্ষায় তাদের সেনাবাহিনী, নিরাপত্তাবাহিনী ও মুখপাত্রদের থেকেও অধিক নিষ্ঠাবান ও উপকারী বন্ধুর ভূমিকা পালন করছে।

ফলে তাগুতদের সেনাবাহিনী ও সৈন্যরা আঘাত করে তাদের তরবারী ও ক্ষমতা দ্বারা এবং মানুষকে তাগুতি আইনের অনুগত করে।

আর তারা আঘাত করে শরীয়তের তরবারী দ্বারা এবং তাদের ধারণা অনুযায়ী মানুষকে তার শাসনের অনুগত করে, তাগুতের ধর্ম গ্রহণ করতে আহ্বান করে। এক্ষেত্রে তারা ওহীর দলিলগুলোকে বিকৃত করে এবং সালাফের উক্তিগুলোকে অপাত্রে রেখে নিজেদের পক্ষে প্রমাণ পেশ করে।

আর মানুষ শরীয়তের নামে তাদের কথা মানছে, তাদের অনুসরণ করছে। এভাবে তারা নিজস্ব পথভ্রষ্টতা ও বিভ্রান্তি দ্বারা শরীয়তের চেহারাই বিকৃত করে দিচ্ছে।

ঐ সকল লোকদের অবস্থা চিন্তা করাও যথেষ্ট, যারা নিজেদের তাওহিদের উপলব্ধি থেকে আধুনিক প্রতিমালয় তথা শিরকী পার্লামেন্টে অংশগ্রহণের নিষেধাজ্ঞা বুঝতে পারেনি এবং বুঝতে পারেনি তার অনুসারীদেরকে আইন রচনাকারী প্রভু বানানোর নিষেধাজ্ঞাও।

অথচ আল্লাহ তাআলা বলেছেন:

مَا تَعْبُدُونَ مِن دُونِهِۦٓ إِلَّآ أَسْمَآءً سَمَّيْتُمُوهَآ أَنتُمْ وَءَابَآؤُكُم مَّآ أَنزَلَ ٱللَّهُ بِهَا مِن سُلْطَٰنٍۚ إِنِ ٱلْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِۚ أَمَرَ أَلَّا تَعْبُدُوٓا۟ إِلَّآ إِيَّاهُۚ ذَٰلِكَ ٱلدِّينُ ٱلْقَيِّمُ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ

“ভিন্ন ভিন্ন বহু প্রতিপালক শ্রেয়, না সেই এক আল্লাহ, যার ক্ষমতা সর্বব্যাপি? তাকে ছেড়ে তোমরা যার ইবাদত করো, তার সারবত্তা কতগুলো নামের বেশি কিছু নয়, যা তোমরা ও তোমাদের বাপ-দাদাগণ রেখে দিয়েছো। আল্লাহ তার পক্ষে কোনও দলিল নাযিল করেননি। হুকুম দানের ক্ষমতা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নেই। তিনিই এ হুকুম দিয়েছেন যে, তোমরা তার ভিন্ন অন্য কারো ইবাদত করো না। এটাই সরল-সোজা পথ, কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না।”

ফলে অনেক মানুষ তাদের দ্বারা প্রতারিত হয়েছে, তাদেরকে অনুসরণ করেছে সাহায্য করেছে এবং তাদেরকে এই আধুনিক প্রতিমালয়ের (পার্লামেন্ট) সদস্য হিসাবে মনোনিত করছে।

ঐ সকল নামধারী মুসলিমদের অবস্থাও চিন্তা করা উচিত, চাই তারা ব্যক্তি হোক বা গ্রুপ হোক! কিভাবে তারা তাওহিদ থেকে একথা বুঝতে পারছে না যে, তাগুতদের সাহায্য করা, তাদের আইন-কানুনের পাহাদারী করা এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের কাফেরদেরকে ঐ সকল শ্রেষ্ঠ মুজাহিদদের বিরুদ্ধে সহযোগীতা করা হারাম, যারা শরীয়তের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এবং শাসনকর্তৃত্বে আল্লাহর একত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে।

ফলে আমরা অনেক লম্বা শশ্রুমন্ডিত ও নামধারী দায়িদেরকে দেখতে পাচ্ছি, যারা তাগুতি সৈন্যবাহিনী ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী সেনাবাহিনীতে ভর্তি হচ্ছে।

তারা এই আইনের সৈনিক, মুখপাত্র, গোয়েন্দা, নিরাপত্তাকর্মী ইত্যাদি হয়ে সন্তুষ্ট। তারা আল্লাহর তাওহিদ থেকে এগুলোর নিষেধাজ্ঞা বুঝতে পারেনি।

অথচ যে বুঝে তার নিকট এগুলো স্পষ্ট তাওহিদ ভঙ্গকারী বিষয়।

ঐসকল শায়খ ও তালিবুল ইলমদের অবস্থাও চিন্তা করা উচিত, যারা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী তাগুতগোষ্ঠী ও আল্লাহর বিধান ব্যতিত ভিন্ন বিধানে শাসনকারীদের পক্ষে বিতর্ক করে। যাদের তাওহিদ ও তার মজবুত হাতল তাদেরকে বাঁধা দিচ্ছে না আল্লাহর আইনের বিপরিত শাসনকারীদেরকে তোষামোদ করতে এবং তাদের কুফরকে ছোট কুফর বলে হালকা ও সহজ করে দিতে।

এভাবে তারা আল্লাহর বিধান ব্যতিত ভিন্ন বিধানে শাসন পরিচালনাকারী, কুফরের পাহারা দানকারী, কাফেরদের পৃষ্ঠপোষকতাকারী, মুসলিমদের সাথে শত্রুতাকারী, আল্লাহ ব্যতিত অন্যদেরকে শাসকরূপে গ্রহণকারী এবং আল্লাহর দ্বীন ব্যতিত অন্য কিছুকে আদর্শরূপে গ্রহণকারীদের সকল অপরাধগুলোকে এমন গুনাহ বলছে, যা ধর্ম থেকে বের করে না।

ফলে এক্ষত্রে তারা ঐ সকল ইহুদীদের সাদৃশ্য গ্রহণ করেছে, যারা শরীয়তের শাসন কার্যকর করতে অস্বীকার করেছিল এবং তার বিধান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল আর এই গুনাহকে তুচ্ছ মনে করেছিল-

أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ نَصِيبًا مِّنَ ٱلْكِتَٰبِ يُدْعَوْنَ إِلَىٰ كِتَٰبِ ٱللَّهِ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ يَتَوَلَّىٰ فَرِيقٌ مِّنْهُمْ وَهُم مُّعْرِضُونَ • ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا۟ لَن تَمَسَّنَا ٱلنَّارُ إِلَّآ أَيَّامًا مَّعْدُودَٰتٍۖ وَغَرَّهُمْ فِى دِينِهِم مَّا كَانُوا۟ يَفْتَرُونَ

“তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যাদেরকে কিতাবের কিছু অংশ দেওয়া হয়েছিল। তাদেরকে আল্লাহর কিতাবের দিকে ডাকা হয়, যাতে তা তাদের মধ্যে মিমাংসা করে দেয়। তথাপি তাদের একদল উপেক্ষার সাথে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তা একারণে যে, তারা বলে থাকে, আগুন কখনোই আমাদেরকে দিন কতকের বেশি না।”

ইহুদীরা তাদের গো-বৎসের ইবাদতকে ছোট কুফর মনে করেছে, তাই তারা দাবি করেছে যে, তারা মাত্র চল্লিশ দিন জাহান্নামে অবস্থান করবে, অর্থাৎ যে ক’দিন তারা তার ইবাদত করেছে।

এভাবে তারা অনেক শিরকী ও কুফরীকে তুচ্ছ জ্ঞান করেছে, ফলে তা তাদেরকে আল্লাহর বিধান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে দুঃসাহসী করে তুলেছে।

অনুরূপ এসকল জিহাদ পরিত্যাগকারি পেছনে বসে থাকা লোকেরাও (খাওয়ালিফ) তাওহিদ বুঝতে পারেনি। তারা দাবি করে, আল্লাহ্র বিধান ব্যতিত ভিন্ন বিধানের অনুসারীরা যারা আর গো-বৎসের পূজারীরা এক সমান- তাদের এই শিরক নাকি ছোট কুফর।

তাদের নিকট তাওহিদ কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করতে, তাদের সাহায্য করতে এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদেরকে সমর্থন করতে বাঁধা দেয় না।

যে এদের অবস্থা ও ঐ সকল লোকদের অবস্থা চিন্তা করবে এবং এই মাসাআলায় (যা মুসলমানদের নিকট তাওহিদের প্রাথমিক জ্ঞান হওয়া উচিত) যারা আমাদের সাথে বিতর্ক করে, তাদের অবস্থা চিন্তা করবে সে বুঝতে পারবে তাওহিদের ব্যাপারে কথা বলার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এবং তার দিকে দাওয়াত দেওয়া, বারবার তা আলোচনা করা, উম্মাহর তা বুঝা ও তার বিপরীত সমসাময়িক শিরকগুলো জানার আবশ্যকীয়তা বুঝতে পারবে, যার মধ্যে অনেক মানুষ দলীয়ভাবে এবং এককভাবে প্রবেশ করছে।

যে লোক তাওহিদ বুঝে, বর্তমান বাস্তবতা জানে এবং আধুনিক শিরকগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখে, সে আমাদের এই কথাগুলোতে আশ্চর্যান্বিত হবে না বা তাকে নতুন কিছু মনে করবে না।

আল্লাহ তাআলা শায়খ ইবনে তাইমিয়া রহ: এর প্রতি রহম করুন, তিনি বলেন:

এই শিরক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, এমনকি পুরো পৃথিবী ছেয়ে গেছে। আর অল্পসংখ্যক (গুরাবা) অপরিচিত লোকই কেবল তার বিরোধিতা করছে। কিন্তু তাদের সংখ্যা অল্পের মধ্যেও অল্প, যাদের কথা কেউ শোনে না, কেউ মানে না।

হে আল্লাহ! আমাদেরকে ঐ সকল গুরাবাদের অন্তর্ভূক্ত করুন, যারা স্বীয় তাওহিদকে আঁকড়ে ধরেছে, তার দিকে দাওয়াত দিচ্ছে, তার ভিত্তিতে যুদ্ধ করছে আর শিরক ও মুশরিকদের ব্যাপারে সতর্ক করছে এবং তাদের থেকে সম্পর্ক চ্ছিন্ন করছে, যে পর্যন্ত না আমরা আপনার সাক্ষাৎ লাভ করি।

(Visited 505 times, 1 visits today)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × four =