প্রচলিত তাবলীগ জামাতের উপর দেওবন্দের ফতোয়াঃ (ফতোয়া নং ৬৮৭৮৪)
“দারুল উলুম দেওবন্দের কোন আলিমই তাবলীগ বিরোধী নন। কিন্তু হ্যা, তাবলীগের অনেকে ভুল কথা বলেন এবং চরম ধরনের মত প্রকাশ করেন। যেমনঃ
১) তারা কুর’আনের উল্লেখিত জিহাদের খাস আয়াতগুলো তাবলীগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে। যা সুস্পষ্টতই কুর’আনের বিকৃতি।
২) তারা বলে – দ্বীনি মাদ্রাসা কোন কাজের না। এ থেকে কিছুই পাওয়া যায় না। দ্বীনের জ্ঞান আসে শুধু জামাতের সাথে বের হওয়ার মাধ্যমে।
৩) তারা বলে – উলামারা এতোদিন পর্যন্ত কি করেছে? তারা কিছুই করেনি। দ্বীনের যা প্রচার হয়েছে, সেটা আলিমরা করেনি। তাবলীগ জামাতের মেহনতের মাধ্যমে দ্বীন ছড়িয়েছে।
উলামা দ্বীনের মাত্র ৪% কাজ করেছে, আর বাকি ৯৬% কাজ করেছে তাবলীগ জামাত। আর এই ৪% কাজও উলামারা আল্লাহ্র জন্য করেনি, করেছে বেতনের জন্য।
৪) কোনো আলেম তাফসির করতে গেলে তারা থামিয়ে দেয়, এবং বলে শুধু ফাজায়েলে আ’মাল-ই পড়তে হবে। আর কোন বই পড়া হবে না।
৫) তাক্বওয়া আর তাযকিয়্যাতুন নফসের কোন প্রয়োজন নেই। যা কিছু দরকার তার সবকিছুই জামাতের সাথে বের হলে পাওয়া যাবে।
৬) প্রতি বছর এক চিল্লা না দিলে তারা কোন আলিমকে মাসজিদের ইমাম কিংবা মাদ্রাসা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয় না।
আর যদি অজ্ঞানতাবশত এমন কাউকে তারা নিয়োগ দিয়ে দেয় আর পরে তা জানতে পারে যে সেই আলিম প্রতি বছর চল্লিশ দিন সময় লাগান নি, তাহলে তারা ইমাম এবং মাদ্রাসার শিক্ষকের পদ থেকে অব্যহতি দেয়। এমন কারো সাথে তারা নিজেদের মেয়েকে বিয়েও দেয় না।
৭) তারা উলামাদের তুচ্ছ জ্ঞান করে। ক্রমাগত তাদের সাথে তর্ক করতে থাকে।
৮) চিল্লা না দিলে তারা কাউকে দ্বীনদার তো দুরের কথা মুসলিমও মনে করে না।
৯) যে নিযামুদ্দিনের তাবলিগে অংশগ্রহন করে না, তার কাজ দ্বীনের যতোবড় খেদমতই হোক না কেন, তারা তার কাজকে দ্বীনের কাজই মনে করে না।
তাদের এরকম আরো অনেক মত ও অবস্থান আছে যা দেখার পর মুফতি সাইদ আহমেদ পালনপুরি ছাড়াও আরো অনেক উলামা ও বুজুর্গানে দ্বীন বলেছেন,
“তাবলীগ জামাত একটি ফিরকাতে পরিণত হচ্ছে।”
তাবলীগ জামাত ক্বুর’আন ও হাদিসের পথকে বাদ দিয়ে নব উদ্ভাবিত পথ ও নব উদ্ভাবিত দ্বীন গ্রহন করছে।
.
আর এসব কিছুই ঘটেছে তাদের চরমপন্থার কারনে।”
দারুল ইফতা
দারুল উলুম দেওবন্দ
মূল উর্দু ফাতওয়ার লিঙ্কঃ http://