ভূমিকা ও প্রথম পর্ব | দ্বিতীয় পর্ব | তৃতীয় পর্ব | চতুর্থ পর্ব
শায়খ খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গির বলেন,
“মদীনার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর নেতৃত্বে মুসলিমগণ অনেক ‘কিতাল’ করেছেন।
যুদ্ধের ময়দান ছাড়া কাফিরদের দেশে যেয়ে গোপনে হত্যা, সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ,বিষপ্রয়োগ কখনোই তিনি করেন নি বা করার অনুমতি দেন নি।”– ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ, পৃষ্ঠা ৪৯
১) হজরত উসামা বিন জায়েদ রাদিঃ বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁকে ফিলিস্তিনের উবনা এলাকার উপরে ভোরে আক্রমন করে তাদের ঘরবাড়ি জালিয়ে দেবার আদেশ দিলেন এবং বললেন,”আল্লাহ’র নামে রওনা হয়ে যাও।”
.
(মুখতাসার ইবনে আসাকির, হায়াতুস সাহাবা, ২/৪৭)
.
.
২) চতুর্থ হিজরীর মহররম মাসে খালিদ বিন আবু সুফিয়ান হুজালি মুসলিমদের উপর হামলার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে জানার পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশে সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে উনাইস রাদিঃ খালিদ বিন আবু সুফিয়ান হুজালিকে গুপ্তহত্যা করেন এবং তার মাথা কেটে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট নিয়ে আসেন।
রাসুল সাঃ গুপ্তহত্যাকারী সাহাবিকে একটি লাঠি দিয়ে বলেন, “কিয়ামতের দিন এটি তোমার ও আমার মাঝে নিদর্শন হিসেবে থাকবে।”
.
(যাদুল মা’আদ, ২/১০৯; সীরাতে ইবনে হিশাম ২/৬১৯-৬২০)
.
.
৩) রাসুলুল্লাহ (সা) এর সময়ে ‘বায়াত’ নামক এক ধরনের যুদ্ধ পদ্ধতি ছিল। এটা ছিল রাতের অন্ধকারে শত্রুপক্ষের উপর হামলা করা। আক্রমণকারীরা অতর্কিতভাবে শত্রুদের বাড়িঘরে কিংবা তাবুতে হামলা করত এবং লড়াইয়ে লিপ্ত হত।
.
এ কারণে ঘরে কিংবা তাবুতে অবস্থানরত নারী-পুরুষ- শিশু নির্বিশেষে নিহত হত কারণ এর মাঝে নারী-পুরুষ-শিশু পার্থক্য করা খুবই কঠিন। এখন, এ ধরণের যুদ্ধ কি ইসলাম অনুমোদন করে?
.
‘বায়াত’ যুদ্ধে নারী-শিশুরা যে হামলার শিকার হচ্ছে এ ব্যপারে রাসুলুল্লাহ(সা) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। একটি সহিহ বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন “তারা তাদেরই অন্তর্ভুক্ত”। (সহিহ মুসলিম)
.
অর্থাৎ হত্যার অনুমতির ব্যাপারে যুদ্ধরত পুরুষদের উপর যে হুকুম তাদের ক্ষেত্রেও অনুরূপ।
.
রাসুলুল্লাহ (সা) তাঁর সাহাবীদের এই ধরনের যুদ্ধের অনুমতি প্রদান করেছেন যেখানে পুরো পরিবারই নিহত হচ্ছে।
সালামাহ(রা) বলেছেন ‘আমি নিজে নয়টি পরিবারের সকল লোককে হত্যা করেছি।’
.
(আল-তাবারানি)
.
.
৪) ইবনে রুশদ বলেন, এই ব্যাপারে আলেমগণের ইজমা আছে যে কাফেরদের দুর্গে গুলতি দিয়ে আক্রমন করা বৈধ যদিও তাদের মাঝে নারী –শিশু থাকুক কিংবা না থাকুক।
.
কারণ আমাদের নিকট দালিল আছে যেখান থেকে জানতে পারি রাসুল (সা) তায়িফে কাফেরদের বিরুদ্ধে গুলতি ব্যবহার করেছিলেন।
.
(বিদায়াত আল-মুজতাহিদ)
.
.
আলোচনা সংক্ষিপ্ত রাখার উদ্দেশ্যে এখানেই থামা হলো। খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গিরকে আল্লাহ্ ক্ষমা করুন।
উনার বইয়ের বিকল্প বই পাওয়া গেলে উনার বই বিতরণ, ক্রয়, পঠন ত্যাগ করাই উত্তম…
.
.
আল্লামা মুহাম্মাদ ইব্ন সিরিন রাহিমাহুল্লাহ্ বলেন: “অতএব পরখ করে দেখো কার থেকে তোমাদের দ্বীন গ্রহণ করছো!”
(শামায়েলে তিরমিজির শেষ হাদিস, মাওকুফ)
ভাই, দয়া করে বইটার pdf তৈরি করে আপলোড দিবেন আশা করি। তাহলে অন্য ভাইদের দেওয়া যাবে। ওয়েব ৬খন্ড লেখা সাধারণ কেউ পড়তে চায় না।