আল্লামা সুলাইমান আল উলওয়ান
https://www.youtube.com/watch?v=XpAnD_aJU4Q
বর্তমানে লোকদের স্বভাব হয়েছে যে ভিন্নমত পোষনকারীদের খারেজি বলে ঘায়েল করছে। যে ব্যক্তি আমর বিল মারুফ নাহি আনিল মুনকার করতে গেল ব্যাস খারিজি হয়ে গেল, যে মুরতাদদেরকে কাফের বললো সে খারেজি হয়ে গেল, বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী বিকৃতিগ্রস্থদের যারা প্রকাশ করে দিলো খারেজি হয়ে গেল, কেউ ঈমান ভঙ্গের কারণসমূহ নিয়ে আলোচনা করেছেন তো ব্যাস খারেজি আখ্যা পেয়ে যাচ্ছেন।
ফলে অবস্থা এই পর্যায়ে গড়িয়েছে যে সাম্প্রদায়িক এমন একটি জাতিগোষ্ঠীর উদ্ভব হয়েছে যে তারা মুরতাদ ব্যভিচারিদের নিয়েও কোন উচ্চবাচ্য করেনা পাছে বিকৃতিগ্রস্থরা না আবার তাদের খারেজি আখ্যা দিয়ে ফেলে, মূলত সর্ব যুগেই মুর্যিয়াদের একটি গ্রুপ আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের লোকদের সম্পর্কে বলেছে যে, তারা খারেজি।
ইমাম আহমাদ ইবনে হানবল রহঃ কে অপবাদ দেয়া হয়েছে যে তিনি খারেজি, এতে তার কোন ক্ষতি হয়নি, ইবনে তায়মিয়া রাহঃ কে খারেজি আখ্যা দেওয়া হয়েছে, এতে তার কোন ক্ষতি হয়নি, ইবনুল কাইয়্যিম রহঃ সম্পর্কে বলা হয়েছে তিনি নাকি খারেজি, যেমনটি তিনি তার কাসিদায়ে নূনিয়া কবিতায় উল্লেখ করেছেনঃ
আশ্চর্যের ব্যপার, কুরআন-সুন্নাহর অধীনতা যে গ্রহন করে তাকে বলা হয় যে এমনটি করে তুমি খারেজি হয়ে যাচ্ছো, তারা শব্দ গ্রহন করেছে বটে কিন্তু অর্থের দিশা লাভ করেনি।
আর এটা মুরজিয়াদের একটা হাতিয়ার যা এসব অলস অক্ষমদের হাতিয়ার যা তাদের বিতর্কের শক্তি প্রকাশ করে।
যেমন কবি বলেনঃ
বিতর্কে তাদের কোন যুক্তি নেই , দিশাহীন অন্ধ অনুসারি এই ,
সে তার দলীল পাবে কোথায় , তারা দলীলের আশ্রয় নেয়না ,
অপারগ হয়ে তারা ক্ষমতার দাপটের আশ্রয় নেয়।
তারা দলীল দিয়ে বিতর্কের ক্ষমতা রাখেনা, নতুবা তারা দলীল দিয়ে দলীল খন্ডন করেনা কেন, অবশেষে উপায়ন্তর না পেয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করে লোকদেরকে দূরে সরানোর জন্য অপবাদ দেয়া বিদাতি আখ্যা দেয়া ও বিভ্রান্ত বলার জন্য বাধ্য হয়, কারন কারো সম্পর্কে যখন লোকদের বলা হয় যে অমুক খারেজি, তখন মানুষ তার কাজকে খারেজিদের কর্মকান্ড মনে করে তার থেকে সরে পরে!
তারা আমাদের সম্পর্কে লোকদের ধারনা দেয় যে- তারা খারেজি! এখানে তাদের না কোন দ্বীন আছে, না বিবেক আর না সততা। মোট কথা তারা তাদের ইর্জায়ি মিশন এভাবে বাস্তবায়ন করে চলছে।
সার কথা হলো যারা ঈমানভঙ্গের কারণসমূহকে অস্বীকার(জুহুদ), হালাল জ্ঞান(ইস্তিহলাল) ও মিথ্যা প্রতিপন্ন(তাকযিব) করার শর্তের সাথে সীমিত করে দেয় তারাই মুরজিয়া। আর এটাই জাহমিয়া মুরজিয়াদের মাযহাব, আর তারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতকে খারেজি বলে থাকে।
এজন্য কার মধ্যে বাস্তবে কী গুন আছে এটা নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে, শুধু বিদাতিদের অপব্যখ্যা ও বিকারগ্রস্থ লোকদের কথা গ্রহন করলে হবেনা।