মুসলিম রক্তের নিষিদ্ধতা!

শায়খ আতিয়াতুল্লাহ আল লিবি

আমরা এবং অন্যরা প্রায় সময় আমাদের শক্র ও তাদের দ্বারা মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে দেখি যে, জিহাদি আন্দোলনগুলোকে মুসলমানদেরকে টার্গেট করার অপরাধে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।

তারা এমনভাবে চিত্রিত করে যেন মুজাহিদিনরা অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত খুনিদের একটি গ্রুপ, যাদের কাজ কোন কারণ ছাড়াই রক্ত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা এবং সম্পদের লুটতরাজ করা এবং তাদের কোন যুক্তিযুক্ত কারণ নেই , নেই কোন লক্ষ্য অথবা কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং এ জাতীয় আরও অনেক অভিযোগ আরোপ করে। প্রকৃতপক্ষে তারা মিথ্যা বলে।

ক্রুসেডারদের ধূর্ত চক্রান্ত, (যারা আফগানিস্তানের মাটিতে অপদস্থ ও প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর পশ্চাদপসরনের পথ খুঁজছে) -যার মধ্যে অন্তর্গত হল দুর্নীতির বিস্তার ঘটানো , ‘Scorched Earth ‘( একটি সামরিক কৌশল যেখানে প্রতিপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ সব কিছু পুড়িয়ে দেয়া হয়) নীতি অনুসরণ করে চলে যাওয়ার সময় শস্য ও গবাদি পশু পুড়িয়ে দেওয়া, মানবতার কোন পরোয়া না করা, এর ফলাফলের এমনকি ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক সম্পর্কেরও কোন চিন্তা না করা- যা তাদের চক্রান্ত সফলে সহযোগিতা করছে।

বাতাস পলায়নপর শক্রুর ধুলায় ধূসরিত এবং বাজারগুলো সন্দেহজনক আক্রমণে পরিপূর্ণ যেখানে মুসলমানদের লক্ষ্য করা হচ্ছে, কখনো কখনো এমনকি মসজিদ ও অন্যান্য জায়গাও। এই অভিযোগসমূহের ইতি টানতে , এই পথকে আলোকিত করতে, আল্লাহ্‌র সামনে দায়িত্ব হতে মুক্তি পেতে, এবং সর্বোপরি আমাদের এই উত্তম জিহাদি আন্দোলনকে অধিক নিয়মানুবর্তিতার আয়ত্বে আনতে পুনরায় আমরা মুসলিমদের টার্গেট করে যে কোন অপারেশন থেকে নিজেদের মুক্ত ঘোষনা করছি। হোক এটা মসজিদ, বাজার, পরিবহণ রুট অথবা জনসমাগমের স্থান ।

আল-কায়েদাএর নেতাদের মাধ্যমেবিবৃতির মাধ্যমে এবং মুখপাত্রদের মাধ্যমে অসংখ্যবার এই বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। এবং এটি আমরা পরিষ্কারভাবে দেখিয়ে দিয়েছি আমাদের মানহাযেআমাদের পন্থায় ও আমাদের আহবানে ।

আমরা পরিস্কারভাবে ব্যক্ত করেছি যে, আমরা ইসলামি জনগণকে এমন জনগণ ভাবি, যাদের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু আমরা এও ভাবিনা যে আমরা নিজেরা ও তারা ভুলক্রটির উর্ধ্বে। বরং আমরা মানুষকে তার কাজের ভিত্তিতেই বিচার করি, যে কাজ স্পষ্টত তার বৈশিষ্ট্যের পরিচায়ক ।

আমরা বিশ্বাস করি আমাদের উম্মতের জনগণ – যারা অত্যাচারী মুরতাদ শাসক, বিশ্বাসঘাতক এবং ধর্মনিরপেক্ষ সরকার, শত্রু ও পশ্চিমা জোটের দালাল দ্বারা শাসিত- তারা মুসলিম । আমাদের প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপর এটি ফরজ তাদের বাঁচানো, স্বাধীন করা, পথপ্রদর্শন করা এবং পুনর্গঠন করা, গৌরব ও মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া। কিন্তু তাদের হত্যা করে বা তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করে কিংবা তাদের দুঃখ, দুর্যোগ বা কষ্ট বৃদ্ধি করে নয়।

আমরা বলেছি যে আমরা আমাদের মহান ও মহানুভব আল্লাহ্‌ র শরী’য়াহ্‌র নির্দেশিকা অনুসরণ করি, যিনি সকল প্রকার বেআইনীভাবে মানুষ হত্যা হারাম করেছেন, যদিও শত্রুদের জুলুম ও স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ যতই বৃদ্ধি পাক, তাদের প্রতি যতই ঘৃণা প্রকাশ পাক বা যুদ্ধে যতই প্রতিশোধ নেওয়ার প্রয়োজন মনে হোক না কেন।

মহান ও মহানুভব আল্লাহ্‌র ধর্ম আরও বেশী মহিমান্বিত ও মূল্যবান। আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি ও সম্মান অর্জন করা অন্য যে কোন লক্ষ্যের চেয়ে অনেক বেশী গৌরবের ও মূল্যবান। এতদনুসারে এ জাতীয় যে কোন কর্মকাণ্ড থেকে আমরা মুক্ত যেই ঘটাক বা যেখানেই ঘটাক না কেন। কেননা এই সকল লোক হল শত্রদের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল, কাফেরদের বেতনভূক্ত নিরাপত্তা বাহিনী (হে আল্লাহ তাদের লঙ্জিত করুন) অথবা তারা, যারা নিজেদের মুসলিম বা মুজাহিদিন দাবী করে কিন্তু তারা অগোছালো ও দায়িত্বহীনভাবে কাজ করে।

আমরা প্রকাশ্যে ঘোষণা করছি এসব কর্মকান্ড বিশ্বে শুধু অপকর্ম এবং অপচার ছড়িয়ে দেয়। যা আল্লাহ্‌ তা’আলার পক্ষ থেকে হারাম করা হয়েছে (আল্লাহ্‌ বলেনঃ )

“প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ্‌ পাপাচার ও দুর্নীতি অপছন্দ করেন”

আল্লাহ আরও বলেনঃ

“ এবং আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন না যারা দুর্নীতি ও ধ্বংসের বিস্তার ঘটায় ”

আমাদের পবিত্র ও বৈধ জিহাদ এমন এক কাজ যার আড়ম্বরপূর্ণ ও আদর্শ লক্ষ্য রয়েছে। যা ন্যায়বিচার, ক্ষমাশীলতা,ধার্মিকতা, আভিজাত্য, সম্মান, শ্রদ্ধা এবং সফলতা এসব গুণে গুণান্বিত; সংক্ষেপে যার উদ্দেশ্য হল মহান আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি অর্জন, তাঁর সাথে থাকা ও তাঁর দ্বীনের সাহায্যকারী হিসেবে পাশে থাকা, যিনি সর্বশক্তিমান ও মহিমান্বিত। আমরা আল্লাহ্‌র কালিমা উচ্চে তুলে ধরি এবং আমরা তাঁর দ্বীনকে সাহায্য করি ও এর প্রতিরক্ষা করি।

আমরা সত্যের বিজয় এবং আগ্রাসন ও নিপীড়নের অবসান কামনা করি। আমরা জনগণ ও ভূমিসমূহের স্বাধীনতা কামনা করি। এবং আমরা জনগণের প্রতি সদয়, আমরা তাদের উপকার করি। আমরা সর্বত্র আমাদের মুজাহিদ ভাইদের (আল্লাহ্‌ তাদের সফলতা দান করুন) মনে করিয়ে দেই যেন তারা মুসলিমদের রক্তের পবিত্রতার উপর গুরুত্বারোপ করে এবং এর গুরুত্ব সবাইকে উপলব্ধি করতে সাহায্য করেএর প্রতিরক্ষা ও সংরক্ষণে অনেক বেশী সতর্ক হয়এবং বেআইনিভাবে এই রক্ত ঝরানোর ব্যাপারে আল্লাহ্‌কে ভয় করে।

তাদের সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত যেন মুসলিম রক্ত, সম্পদ ও সম্মান অবহেলিত না হয়। এই যুদ্ধ ও যুদ্ধের পারিপার্থিক অবস্থা, পরিস্থিতি, মনোভাব এবং মানব মনে ছড়িয়ে পড়া ঘৃণা যেন আমাদের সর্বশক্তিমান ও মহান আল্লাহ্‌ তাআলার শরী’য়াহ আঁকড়ে ধরা থেকে বিচ্যুত না করে, এই বিষয়ে এবং অন্যান্য সকল বিষয়ে, এবং এটা যেন আমাদের আল্লাহ্‌র দাসত্ব থেকেও যেন বিচ্যুত না করে। আমরা মহান ও মহানুভব আল্লাহ্‌র গোলাম ও সৈনিক । আমরা আমাদের সর্বোচ্চ আনুগত্য, অবিচলতা এবং নিশ্চয়তার মাধ্যমে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পথ দেখাই।

এই বার্তাটি আমাদের সুস্পষ্ট অবস্থান পরিস্কার করা ও পুনরায় মনে করিয়ে দেয়ার জন্য, বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নয়। যদি এর প্রয়োজন হয়, তাহলে এই বিষয়ে বিশুদ্ধ ও উত্তম শরী’য়াহয় যথেষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে যা মু সলমানদের মাঝে কোন অজানা বিষয় না। একজন মু’মিনের প্রাণ এবং তার রক্তের পবিত্রতার গুরুত্ব ও মর্যাদা বুঝানোর জন্য নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই উক্তিটিই যথেষ্টঃ

“(বেআইনিভাবে) একজন মুসলিম হত্যার চেয়ে সমগ্র পৃথিবী ধ্বংস হওয়া আল্লাহ্‌র কাছে কম অপছন্দনীয়”

পৃথিবী ধ্বংস হোকধ্বংস হোক আমাদের সংগঠনদল এবং অস্তিত্ব। কিন্তু আমাদের হাত যেন বেআইনীভাবে মুসলমানের রক্ত ঝরার কারণ না হয়।

এটাই পরিস্কার ও চূড়ান্ত বিষয়।

এছাড়া, আমি আমার মুজাহিদ ভাইদের(যেখানেই থাকুক আল্লাহ্‌ তাদের সহায় হোন এবং সফলতা দিক) কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী পয়েন্ট তুলে ধরে পরামর্শ দিতে চাইঃ

১) প্রথমতঃ আমি তাদের প্রতি আহবান জানাই যেন তারা লক্ষ্যবস্ত হিসেবে নির্দিষ্ট এলাকাগুলোতে, মসজিদ এবং এরকম অন্যান্য জায়গা যেমন বাজার, স্টেডিয়াম ও অন্যান্য জায়গা যেখানে জনসমাগম ঘটে; সেসব জায়গাগুলোতে যেন বিস্ফোরক বা অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার না করে যার ফলে এ স্থানে উপস্থিত সকল মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

২) দ্বিতীয়তঃ যেসব অপারেশন “তাতাররুস” (মানবঢাল) এর শিরোনামে পরিচালিত হয়, সেসব অবশ্যই কঠোর শৃংখলাবস্থায় পরিচালিত করতে হবে। অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই সতর্ক করা উচিৎ যেন তারা বেশী অবাধে কাজ করতে না যায়, যেহেতু তাদের ব্যতিক্রম পরিস্থিতিতে নিয়োজিত করা হয়েছে। এসব অপারেশন যেহেতু প্রয়োজনের খাতিরে করতে হয়, এজন্য যতটা নিয়ন্ত্রিত হওয়া দরকার ততটুকু হতে হবে।

আমীরকে অবশ্যই কঠোর হতে হবে (যাচাই-বাছাই এর ক্ষেত্রে) শর্ত পূরণ হচ্ছে কিনা এবং এমন অপারেশন করার আগে কোন নিষিদ্ধ বিষয় অনুপস্থিত কিনা ; যেমন শত্রুপক্ষের বড় ক্ষতি করা যাবে এবং এমন সুযোগ হয়ত পরবর্তীতে আর আসবে না;

যেমন সাধারণ পরিস্থিতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুটিকে হামলা করা যায় না কিন্তু যাকে হামলা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং যদি হামলা না করা হয় তবে তা জিহাদের সুস্পষ্ট ক্ষতি ডেকে আনবে এবং তা শক্রপক্ষকে নির্বিঘ্নে এগুনোর এবং এ পরিস্থিতিতে ও সৈন্যদের উপস্থিতিতে পালানোর সুযোগ করে দেবে।

পরবর্তি পয়েন্টে আমি উপরোক্ত পয়েন্টের ইতি টানছি, যা তিন নাম্বার পয়েন্টঃ

৩) বিস্ফোরক জাতীয় অপেরেশনের দায়িত্ব বিশেষ কমিটির তন্তীবধানে থাকা উচিত, যে কমিটি বিশ্বস্ত ত্বলিবুল ইলম ও সামরিক বিশেষজ্ঞদের দ্বারা গঠিত হবে। যারা প্রতিটি বিষয় আলাদাভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেবে যে অনুমতি দেয়া হবে নাকি পশ্চাদ্ধাবন করা হবে। যেমন আলহামদুলিল্লাহ আমরা আল-কায়েদাতে এমন করে থাকি।

৪) সর্বক্ষেত্রের মুজাহিদিনদের আমীরদের কর্তব্য মুজাহিদদের শিক্ষা দেয়া, বিশেষভাবে শাহাদাতপিয়াসি দের (শাহাদাতি হামলা পরিচালনাকারী)। তাদের যথাসম্ভব উপদেশ দেয়া এবং সে পরিতৃপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকে বুঝানো যে একজন মুজাহিদ যে এমন কোন অপারেশন চালাবে তার ব্যাপারে ইসলামের বিধিবিধান কি; যেমন এই ইবাদতে ইখলাসের প্রয়োজনীয়তা, নিজের জান বিলিয়ে দিয়ে, কাফের শত্রদের যারা মুসলমানদের পার্থিব ও ধর্মীয় জীবনযাত্রা ধ্বংস করছে, তাদের প্রতিহত করে, আল্লাহ্‌র কালিমা ও দ্বীনের পতাকা তুলে ধরার মানসে মহান আল্লাহ্‌ র প্রতি পূর্ণ আনুগত্য দেখানোর জন্য পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত হওয়া।

তাদের কখনো সন্দেহজনক বা দ্বিধাপূর্ণ লক্ষ্যবস্তর দিকে ; অথবা এমন কোন এলাকা যার বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে বা যা বিতর্ক ও মতপার্থক্যের কারণ হতে পারে এমন এলাকায় অগ্রসর হওয়া উচিত নয়। তাদের শুধু এসব এলাকায়ই অগ্রসর হওয়া উচিত যার ব্যাপারে তারা শতভাগ নিশ্চিত এবং সম্পূর্ন নির্ভার যে এ এলাকা বৈধ লক্ষ্যবস্তর আওতায় পড়ে এবং এমন অপারেশন আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি অর্জনে সহায়ক।

শাহাদাতপিয়াসি ভাইদের ব্যাপারে মুজাহিদিন আমীরে -উমারাদের উপর দায়িত্ব যেন এটা আন্তরিকতার সাথে করা হয়। তাদেরকে সন্দেহ ও দ্বিধান্বিত লক্ষ্যবস্তুকে হামলা করে জীবন দিতে কঠোরভাবে সতর্ক করা হোক কারণ এটা তাদের প্রতি আন্তরিকতার প্রকাশ নয়।

এছাড়াও সুক্ষদৃষ্টি, নিশ্চয়তা এবং জ্ঞান ছাড়া যদি কোন শাহাদাত পিয়াসি ভাই এগিয়ে যায়, তাহলে সে অবহেলা করল ও নিন্দনীয় কাজ করল। আল্লাহ্‌র কাছে তাকে জবাবদিহি করতে হবে এবং আল্লাহ্‌ তাকে শহীদের মর্যাদা দেয়ার বদলে শাস্তি দিবেন; কে আছে যে এতে সন্তুষ্ট হবে? কত মানুষ মারা যাচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্রে যাদের অন্তরের অবস্থা আল্লাহ্‌র চেয়ে ভাল কেউ জানে না? কত লোক আছে ভালটাই প্রত্যাশা করে কিন্তু অর্জন করতে পারে না?

মুজাহিদিন, যারা তাদের সম্পদ, জীবন এবং অন্তঃকরণ আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির জন্য আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় করেছে তারা এটা কখনো মেনে নিতে পারবেনা । আমাদের দ্বীন হল জ্ঞান, কাজ এবং নিয়তের উপর। অতএব চলুন আমরা উপকারী জ্ঞান আহরণ করি এবং অন্তরদৃষ্টিসম্পন্ন হই। চলুন ন্যায়নিষ্ঠ কাজ করি এবং আমাদের নিয়তকে ঠিক করি। এবং সকল সফলতা আল্লাহর পক্ষ থেকে।

হে আল্লাহ! আমাদের নেক হায়াত বাড়িয়ে দিন যা আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । আমাদের পার্থিব জীবনে উন্নতি দান করুন যেখানে আমরা রিজিকের তালাশ করি। আমাদের পরকালের জীবনে উন্নতি দিন যা আমাদের চূড়ান্ত গন্তব্য ।

এবং আমাদের শেষ দুআ এই যে সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্‌ তা’আলারই, যিনি সকল কিছুরই মালিক।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

(Visited 397 times, 1 visits today)