আনাড়ি কুকুরের দৌরাত্ম্যে আশ্চর্যের কিছু নেই!

শায়খ হানি আস সিবাই

জিহাদ ও কুরবানীর পথের বাস্তবতা হিসেবে আমরা প্রায়ই প্রত্যক্ষ করে থাকি- প্রায়ই দুনিয়ার কোথাও না কোথাও, তাওহিদ ও জিহাদের ঝান্ডাবাহীদের কেউ না কেউ কুফফারদের হাতে বন্দী বা নিহত হচ্ছে।

আমেরিকা, তার কূটকৌশলকারী মিত্রগণ আর তোতাপাখি মিডিয়ার অথর্বরা ইরাক, আফগানিস্তানসহ দুনিয়ার বিভিন্ন স্থানে মুজাহিদিনদের নিকট পরাজয়ের লাঞ্ছনা গোপন করতে মুজাহিদ নেতৃবৃন্দের বন্দী বা নিহত হওয়াকে বিরাট সাফল্য হিসেবে ব্যাপকভাবে ফলাও করে প্রচার করে থাকে।

তাদের এই অক্ষমতা আড়ালের ব্যর্থ চেস্টার ইতিহাস মোটেই নতুন বা বিচিত্র নয়।

যারা ইসলামের বীর সেনানীদের বন্দীত্ব ও নিহত  হওয়াতে খুশি হয়।
সম্ভবত আমাদের মহান কবি বুহতারি এদের প্রতি লক্ষ্য রেখেই বলেছেনঃ

যদি অর্বাচীন, আনাড়ি কুকুর সিংহের উপর জয়ী হয়, এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
কেননা হামজার (রা) রক্তে সিক্ত হয়েছিল দুষ্কৃতকারীর বর্শা,
আর আলীর (আ) হত্যা সংঘটিত হয়েছিল ইবনে মুলজিমের ছুরির আঘাতে।’

ইতিহাসে অত্যাচারী তাগুতদের এমন বহু কীট অতিবাহিত হয়েছে, যারা মুজাহিদ নেতৃবৃন্দের দূখ-দূর্দশা বন্দিত্ব বা নিহতের খবর শুনে উল্লাসে ফেটে পড়তো এবং খুশিতে গান গাইতো।

এই স্বৈরাচারীরা মিডিয়া মেশিনটি জনগণের চোখকে মুগ্ধ করার জন্য দুর্দান্তভাবে ব্যবহার করছে!!

তারা ফলাও করে প্রচার করে যে- তারা প্রচুর বিজয় অর্জন করেছে, অসংখ্য মুজাহিদকে হত্যা করেছে, শত শত মুজাহিদকে গ্রেফতার করেছে ইত্যাদি।

ঠিক এরকমভাবেই স্বৈরাচারী নাস্তিক রাশিয়ান মিডিয়া কমান্ডার শহীদ খাত্তাব রঃ এর শাহাদাতের খবর বেশ ফলাও করে প্রচার করেছিল; অধিকৃত চেচনিয়ায় সামরিক ব্যর্থতা আর বারবার পরাজয়ের বাস্তব চিত্রকে আড়াল করার জন্য।

নাপাক সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার ন্যায় একই কাজ ইতিপূর্বে রাশিয়াও করেছে।

যেই আমেরিকা মিথ্যা এবং দাজ্জালি মিডিয়াকে বেছে নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিভ্রান্তিকর মিডিয়ার সর্বোচ্চ চূড়ায় অবস্থান করছে। সময়ে সময়ে দাম্ভিক আমেরিকা ঘোষণা করে যে তারা তালিবান, আল-কায়দার নেতৃবৃন্দকে বন্দী করেছে অথবা হত্যা করেছে।
উন্মাদ মিডিয়া এই খবরকে খুব ফলাও করে প্রচার  করে। এবং আফগানিস্তানে তাদের পরাজয়ের কথা গোপন করে।

কোনো মুসলিম কমান্ডার বা সৈনিক নিহত বা বন্দী হলে এই অহংকারীরা মনে করে যে, এটা তাদের বিজয় ও আমাদের পরাজয়।
এই ফিরিংগিরা মুজাহিদদের বন্দী বা নিহত হওয়াকে লান্ছনা, লজ্জা এবং দোষনীয় মনে করে।
এই প্রোপাগাণ্ডার মাধ্যমে মুজাহিদ বা যারা এই পথে চলে তাদের কে ভীতি প্রদর্শন করে।

“আমরা তো এমন  জাতি যারা নিহত হওয়া কে খারাপ মনে করি না,
যদিও আমের এবং সলুল এটাকে খারাপ  মনে করে

মৃত্যুর ভালোবাসা আমাদের মৃত্যু কে তরান্বিত করে না,
মৃত্যুর ঘৃনা তাদের কে অমর করে না।

তবে ইতর কুকুরগুলি আমাদের জাতির ইতিহাস গুরুত্বের সাথে পড়ে না,
পড়লেও বুঝে না, আর বুঝলেও শিক্ষা গ্রহণ করে না।”

যদি তারা উম্মতের ইতিহাস ভালোভাবে পড়তো, বিশেষ করে সত্যের পতাকাবাহীদের সাথে তাগুতের দ্বন্দের ইতিহাস; তাহলে তারা সহজেই অবগত হতে পারতো যে, তাদের এই আনন্দ ক্ষণিকের মূহুর্তের জন্য।

নিশ্চয়ই সত্য সর্বদা মিথ্যার উপর আছড়ে পড়ে এবং মিথ্যাকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দেয়- যদিও তা সময়সাপেক্ষ।

অধিকাংশ মানুষ সন্মানিত মুজাহিদদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী  কাফিরদের প্রবল হতে দেখে আশ্চর্যান্বিত হয়।

হ্যাঁ! আমরাও সত্যপন্থীদের বিরুদ্ধে তাগুতের জয় দেখে ব্যাথিত হই। নিশ্চয়ই আমরা তাদের বিচ্ছেদে দু:খিত, কিন্তু এই মুজাহিদদের জন্য রয়েছে রবের বার্তা। তারা এপথে এটা জেনেই বের হয়েছে যে, তারা কোন বনভোজনে যাচ্ছেন না।

তারা তাদের প্রাণ হাতে নিয়ে বের হয়েছে। এবং তাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে আল্লাহর রাহে শহীদ হওয়া অথবা শত্রুর বিরুদ্ধে জয়ী হওয়া।

তারা এমন কিছু প্রশান্ত চিত্তধারী ব্যক্তি, যাদের গন্তব্য দুটি কল্যাণের যে কোনো একটি; হয়তো বিজয় নয়ত শাহাদাত।
হিংস্র কুকুরগুলো কখনো এই স্বাদ আস্বাদন করতে পারবে না, অথচ মুজাহিদগন এর সুমিস্টতা নিয়ে বেঁচে থাকে। চাই তারা কারাগারে থাকুক কিংবা শাহাদাতবরণ করুক।

তারা কখনই খানসা রাঃ এর এই উক্তিটি উপলব্ধি করতে পারবে না; তিনি বলেছিলেন, “সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি আমাকে তাদের (স্বীয় সন্তানদের) নিহত হওয়ার (অর্থাৎ শাহাদাতের) মাধ্যমে সন্মানিত করেছেন।”

এই পবিত্র আত্নাগুলোর বিরুদ্ধে আমেরিকা বা রাশিয়ার সাময়িক জয়লাভ দেখে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। একই ঘটনা তো ইতিপূর্বে বনি ইসরায়েলের নবীদের(আ) সাথেও ঘটেছে, যারা মানুষের মাঝে সবচেয়ে বেশি মর্যাদার অধিকারী ছিলেন। তারা নবীদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে ও হত্যা করেছে।

(ذلك بأنهم كانوا يكفرون بآيات الله ويقتلون الأنبياء بغير حق
এটা একারনে যে তারা আল্লাহর আয়াতসমূহের সাথে কুফরি করত এবং অন্যায়ভাবে নবীদের কে হত্যা করত।(২ঃ৬১)

তারা কি আল্লাহর নবী ইয়াহইয়া (আ)কে হত্যা করে ইসরায়েলীয় এক পতিতার কাছে তাঁর মাথাটি প্লেটে করে উপস্থাপন করেনি? তারা কি জাকারিয়া আঃ কে করাত দ্বারা দ্বিখন্ডিত করেনি?

নবিগণ কি সমাজের নীচু, নির্বোধ শ্রেণির কাছ থেকে দুঃখ-কষ্ট পান নি? তাদের ঠাট্টা বিদ্রুপের শিকার হননি?

একথা কি কেউ কখনো ভেবেছিলো যে আল ফারুক  উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)কে গাাদ্দার, অগ্নিপূজক আবু লুলুর বর্শার আঘাতে শান্তি ও ন্যায়ের শহর মদীনাতুর রসুলে (সা) শহিদ হতে হবে?
কেউ কি কখনো কোনো দ্বন্দযুদ্ধের ময়দানে আবুল হাসান আলি ইবনু আবি তালিবের সাথে প্রতিদ্বন্দিতার দুঃসাহস দেখিয়েছে? অথচ তিনি কি গাদ্দার ইবনে মুলজিমের হাতে নিহত হননি?
এতদসত্ত্বেও ইসলাম শেষ হয়ে যায়নি। এমনকি ইসলামের অনুসারীরাও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় নি।

কোন ব্যক্তির অন্তর্ধানে যদি ইসলামের মৃত্যু ঘটতো তাহলে, মহান রাসুলের (صلى الله عليه وسلم) মৃত্যুর পর ইসলাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।

খলিফা মুসতারশিদের মাধ্যমে বাতিনীরা কি আহলুস সুন্নাহর উপর বিজয়ী হয়নি? অথচ পরবর্তীতে তারাই তাকে বিশ্বাসঘাতকতার সাথে হত্যা করে। একই বছরে খলিফার ছেলে আর রশীদকেও তারা গুপ্তহত্যা করে।

সেলজুকি সুলতান মাসউদ বিন মওদুদ কি নগন্য বাতেনী গোলামদের হাতে নিহত হননি?? অথচ তিনি জুমার দিন মসজিদে সৈন্যবাহিনীর সামনে দেহরক্ষীদের প্রহরায় ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে সৈন্য প্রস্তুত করছিলেন।

আমাদের মধ্যে কে না জানে ইমাদুদ্দিন জিনকি রঃ এর কথা? যিনি শামে সর্বপ্রথম ৫৩৯ হিজরীতে প্রথম ক্রুসেডীয় সম্রাজ্যের হাত থেকে আরিহাকে (বর্তমান এডিসা) শক্তিবলে পুনরুদ্ধার করে ক্রুসেডারদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেছিলেন।
এই সুবিশাল বিজয়কেতন ক্রুসেডার ইউরোপের মাটিতেই উড়েছিল, যা জার্মানির তৃতীয় কনরাড এবং ফ্রান্সের রাজা সপ্তম লুইসের নেতৃত্বে দ্বিতীয় ক্রসেড যুদ্ধকে উসকে দিয়েছিল।
কিন্তু তারা ইমাদুদ্দিন জিনকির ছেলে এবং সাধারণ সরলমনা মুসলমানদের হাতে চরমভাবে পরাজিত হয়।
এতদসত্বে এই মহান আমির যখন ৫৪১ হিজরীতে ফুরাতের উপকূলে অবস্থিত জাবার কেল্লা অবরোধ করেন, তখন শত্রুদের ভাড়াটে গুন্ডাদের হাতে গুপ্ত হত্যার শিকার হন।

ইমাদুদ্দিন জিনকির মৃত্যুতে শত্রু কুকুরগুলো যারপরনাই আনন্দিত হয়েছিল। এবং ক্রুসেডাররা ইউরোপের রাস্তায় নেমে একে অপরকে অভিবাদন জানাচ্ছিল। সেই সময়কার ক্রুসেডার, তাদের মিত্র এবং সাম্রাজ্যবাদীরাও ভেবেছিলো যে, আপাতত তাদের গুহাটি সিংহমুক্ত।
কিন্তু এই কুকুরগুলোর আনন্দ কখনোই পূর্ণতা লাভ করেনি।

কবি বলেন,
“আমাদের নেতৃবৃন্দের মাঝ থেকে কোন নেতা চলে গেলে,
সম্মানিত ব্যাক্তিবর্গ যা বলতেন তা ই যথার্থ-
সিংহের গুহায় প্রবেশ করলো আরেক সিংহ।”

সেই সিংহের নাম নুরুদ্দিন মাহমুদ। যিনি নিজ পিতার শাহাদতের পর পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন এর যোগ্য ব্যক্তি। তিনি যিনকি পরিবারের একটি স্বপ্ন ও ইচ্ছাকে বাস্তবায়ন করেছিলেন। আর তা হলো ইসলামি বিশ্বকে ক্রুসেড মুক্ত করা।
প্রাচ্যবিদ স্টিফেন নুরুদ্দিন যিনকিকে ক্রুসেডারদের সবচে বড় শত্রু আখ্যায়িত করেছিল।

তিনি যখন মৃত্যুবরণ করেন, তখনও আমাদের শত্রুরা আনন্দে উৎফুল্লিত হয়। কিন্তু খুব দ্রুতগতিতে অন্য আরেক সিংহ পতাকাকে ধারণ করেন। তিনি ছিলেন মহান সুলতান সালাহউদ্দিন আয়ুবি রঃ, যার হাতে ৫৮৩ হিজরীতে হিত্তিন বিজয় হয়।

আহলে হকের সাথে বাতিলের ইতিহাস এমনই। কোনো মুসলিম নেতার বন্দী বা নিহত হওয়ার খবরে বাতিলের ধ্বজাধারীরা আনন্দিত হয়। এমনকি তাদের স্বাভাবিক মৃত্যুতেও।

যে ব্যাক্তি এবিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে চায়, সে যেন মহান সুলতান বায়েজিদের জীবনী পড়ে। যার উপাধি ছিল ‘বজ্রধ্বনি’। তিনি পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যের জালিম সম্রাটদের নাজেহাল করে ছেড়েছিলেন। তিনি ৭৯৯ হিজরীতে নিকোবলির যুদ্ধে ইউরোপিয়ান সম্রাট ও আমিরদেরকে বন্দী করেছিলেন।

কিন্তু পরবর্তীতে এই সুলতান কুখ্যাত তাগুত তৈমুর লংয়ের হাতে পরাজিত হন।
এমন সময় তিনি তৈমুরলংয়ের হাতে পরাজয় বরন করেন, যখন তিনি ইউরোপিয়ানদের সাথে যুদ্ধরত ছিলেন।
তিনি কনস্ট্যান্টিনোপল জয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিলেন।

কিন্তু ৮০৫ হিজরীতে আনকারার যুদ্ধে মোগল সেনাপতি তৈমুর লং তাকে পরাজিত করে বন্দী করেন।
অতঃপর, তাকে একটি খাঁচায় ভরে মহাসড়কে মানুষের সামনে উপস্থিত করা হয়; যাতে জনগণ তার পরিণতি পর্যবেক্ষণ করতে পারে। আট মাস বন্দী থেকে অবশেষে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সুলতান বায়েজিদের গ্রেপ্তারিতে মোগল ও ইউরোপিয়ানরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিল।
তারা ভেবেছিল উসমানী সাম্রাজ্য হয়তো শেষ।

কিন্তু তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হল। যখন অপ্রতিরোধ্য এক বীরের আত্নপ্রকাশ ঘটলো, তখন তাদের আনন্দ হারিয়ে গেল।

তিনি তাদের সকলের উপর জয়ী হলেন। অতঃপর
উসমানী সাম্রাজ্য বিশ্বনেতৃত্বের আসনে সমাসীন হল। আর পাঁচ শতাব্দী ধরে তাদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়াল। সেই মহান বীর ছিলেন সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহ রহঃ।

তারপরও কিন্তু শত্রু কুকুরের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি।

রাশিয়া কি ককেশাসের বীর ইমাম শামিলের কথা ভুলে গেছে? না কি ভুলে থাকার ভান করছে। যিনি জারের সেনাবাহিনীকে চরমভাবে পরাজিত করেছিলেন। দীর্ঘদিন যাবৎ রাশিয়া এই পরাজয়ের ক্ষত চিহ্ন বহন করেছে।
মাও সে তুং, কাস্ত্রো আর জিফারের পূর্বেই বিশ্ব তার কাছ থেকে গেরিলা যুদ্ধের কলাকৌশল রপ্ত করেছে।
শত্রু কুকুরগুলো তার উপর বিজয়ী হওয়ার আগ পর্যন্ত
তিনি জিহাদ করেছেন। এবং প্রতিরোধ যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছেন। অবশেষে তিনি গ্রেফতারের শিকার হন।
এবং তিনি রহঃ অত্যন্ত সন্মানের সাথে মৃত্যবরণ করেন। তিনি মুজাহিদদের জন্য তার সাধ্যমত সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন এবং আমাদের ইমামরূপে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছেন।

রাশিয়ান কাফের নেতারা অল্প সময়ের জন্য খুশি হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু সে জানত না, কালের গর্ভে কি লুকিয়ে আছে।
ইমাম শামিলের উত্তরসূরীরা আবার যখন নতুন করে ইসলামের পতাকাকে হাতে তুলে নিলেন, তখন থেকে আমরা আবার মহাযুদ্ধের সাহসিকতার কাব্যধ্বনি শুনতে পেলাম। শামিল বাসায়েভ রহঃ আর খাত্তাবদের সাহসিকতার আলো পত্রিকার নির্জীব লেখাকে জীবন্ত করে পুরো দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

আমেরিকা ও তার কাফির মিত্ররা কি গৌরবের মূর্তপ্রতীক উমর আল মুখতারের কথা ভুলে গেছে? তিনি ইতালিয়ানদেরকে পরাজিত করেছিলেন। ২০ বছর ধরে ইতালিয়ানদের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি করেছিলেন। অবশেষে উমর আল মুখতারকে গ্রেপ্তার করার মাধ্যমে তারা সাময়িক সাফল্য লাভ করে। তাদের আনন্দ কিছুটা পূর্নতাও পেয়েছিল। কিন্তু তার জীবন তো (আখেরাতে) চিরস্থায়ী। যা অনন্তর কেবল বৃদ্ধিই পেতে থাকবে। যে জীবন তার ফাঁসিকাষ্ঠের পূর্বজীবনের চেয়েও অতিপবিত্র।

নবীদের (আ) হত্যাকারীদের উত্তরসূরীদের অন্তরে কি এ কথা ঘুরপাক খাচ্ছে যে, কোনো নেতাকে হত্যার মাধ্যমে তারা স্থায়ী বিজয় লাভ করেছে?
এমনটা কখনোই হতে পারে না। লবংগের ফুল, কমলালেবুর বীচি, এমনকি বাতাসে দোল খাওয়া জুঁইফুলের নরম ডালটি পর্যন্ত প্রতিশোধের আগুনে রুপান্তরিত হচ্ছে, যা উম্মতের শত্রুদের অন্তর্জালা আরো বৃদ্ধি করে দিবে।

পরিশেষে বলতে চাই,
রাশিয়া, আমেরিকা এবং দুনিয়ার তাবৎ কুফরী শক্তি এ কথা জেনে রাখুক যে,
কোন নেতার বন্দীত্ব বা মৃত্যুতে আমাদের উজ্জ্বল আশাটি শেষ হয়ে যায় না। বরং সেই নেতার স্মৃতি প্রতিটি মানুষের অন্তরের অন্তঃস্থলে অংকিত থাকে। আর আমাদের উম্মাহ তো তার সন্তানদের প্রতি খুবই স্নেহশীল।

(Visited 280 times, 1 visits today)