যদি তোমরা যন্ত্রণা পেয়ে থাকো, তবে…

শায়খ আবু মুহাম্মাদ আল মাকদিসি

গভীর রাতে যখন কারাপ্রকোষ্ঠের দরজার ফাঁক গলিয়ে বাইরে তাকাই তখন দেখি দেয়ালে হেলান দিয়ে কারারক্ষী ঘুমাচ্ছে।

তার এই ঘুম এমন সতর্ক ও শঙ্কিত অবস্থায়, যেন এখনই কেউ তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলবে। কেননা, তাদের আইনানুযায়ী প্রহরাকালীন সময়ে ঘুমানো তাদের জন্য নিষিদ্ধ । তখন আমার স্মরণ হয় আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণী-

وَلَا تَهِنُوا فِى ابْتِغَآءِ الْقَوْمِ ۖ إِن تَكُونُوا تَأْلَمُونَ فَإِنَّهُمْ يَأْلَمُونَ كَمَا تَأْلَمُونَ ۖ وَتَرْجُونَ مِنَ اللَّهِ مَا لَا يَرْجُونَ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا

“আর শত্রু সম্প্রদায়ের সন্ধানে তোমরা হতোদ্যম হয়ো না। যদি তোমরা যন্ত্রণা পাও তবে তারাও তো তোমাদের মতই যন্ত্রণা পায় এবং আল্লাহর কাছে তোমরা যা আশা কর ওরা তা আশা করে না। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।”

– সূরা নিসা, ৪ঃ১০৪

তাই কখনো কখনো এমন হয় যে, সেলের দরজায় দাড়িয়েই বিনিদ্র রাত পার করে দেই, কারারক্ষীদের শিরক ও আল্লাহ্‌ তা’আলার সমকক্ষ স্থির করা থেকে বেঁচে থাকার ব্যাপারে আহ্বান জানাতে জানাতে। তাদের সামনে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরি তাওহীদের বাস্তবতা। শুনিয়ে দেই এ ব্যাপারে আল্লাহ্‌ তা’আলা যা নাজিল করেছেন – “আর শত্রু সম্প্রদায়ের সন্ধানে তোমরা হতোদ্যম হয়ো না। যদি তোমরা যন্ত্রণা পাও তবে তারাও তো তোমাদের মতই যন্ত্রণা পায় এবং আল্লাহর কাছে তোমরা যা আশা কর ওরা তা আশা করে না। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।” (সুরা নিসা, ৪ঃ১০৪)

দেখতে পাই তাগুতের সাথে পরিশ্রমকারী এসকল সৈনিকেরা ইদের দিনগুলোতেও নিজেদের পরিবার পরিজনের কাছে যেতে পারছে না।
আমাদের সাথেই কারাগারে কাটিয়ে দিচ্ছে ছুটির দিনগুলো। তারা সপ্তাহের পর সপ্তাহ কাটিয়ে দেয় স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মা আর পরিবার পরিজন থেকে বিচ্ছিন্নাবস্থায়।

তখন তাদের কাউকে কাউকে বলি “তোমরাও আমাদের ন্যায় বন্দী, তবে তোমাদের ও আমাদের মাঝে রয়েছে বিশাল ব্যবধান।
তোমরা ঈদ ও অন্যান্য উৎসবে স্ত্রী সন্তান আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গবঞ্চিত হচ্ছো, সামান্য কয়েকটি টাকা বেতন আর তাগুতকে সন্তুষ্ট করার নিমিত্তে। তোমাদের অনেকেরই অবস্থা এমন যে, বেতনের টাকায় ঋণদাতাদের দিয়েই শেষ করে ফেলে। অধিকাংশই সর্বাবস্থায় চরম অসন্তোষ, বিরক্তি আর অভিযোগের অনুভুতি লালন করতে থাকো।

আর আমাদের অবস্থা তো এই যে,
আমরা কারাগারে অতিবাহিত প্রতিটি মুহূর্তের জন্য আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার নিকট সোয়াবের প্রত্যাশা রাখি। ঈদের দিনই হোক বা অন্য কোন মুহূর্তই হোক, আমরা পিতামাতা, স্ত্রী-সন্তান এবং পরিবার থেকে দূরে থাকা কষ্ট-ক্লেশ ও সঙ্কীর্ণতা কিংবা নির্যাতিত হবার প্রতিদান রব্বুল ‘আলামিনের নিকট যথাযথভাবে পাওয়ার আশাবাদী। আমরা আল্লাহ্‌ তা’আলার কাছে বিশাল প্রতিদানের আশাবাদী যা কখনো নিঃশেষ হবে না।

তোমরাও ঈদ আনন্দ হতে বঞ্চিত, আমরাও। কিন্তু আমরা আল্লাহ্‌ তা’আলার প্রতিদানের ব্যাপারে আশাবাদী, অথচ তোমরা তোমাদের কষ্ট-ক্লেশের কোন প্রতিদান মহান রবের নিকট আশা করতে পার না।”

কারা কর্তৃপক্ষ যখন গভীর রাতে বন্দীদের পরিদর্শনের জন্য আসে, তখন দেখতে পাই পরিদর্শকের চোখগুলো লাল হয়ে আছে আর অনবরত হাই তুলছে। তখনও আমার উক্ত আয়াতের কথা স্মরণ হয়।

আরও স্মরণ হয়, মুসলিমদের সাথে শত্রুতার ফলাফলস্বরূপ যখন ইহুদিরা ক্রোধে হাত কামড়াতে থাকে কিংবা মুজাহিদীনদের আক্রমণে তাদের নিহতদের জন্য অশ্রুবর্ষণ করতে থাকে।
এ আয়াত তখনো মাথায় আসে, যখন মুসলিম এবং কাফিরদের মধ্যকার নিহত ও বিধবাদের কথা মনে পরে।

আমরা শুনেছি আমেরিকান নপুংসক সৈন্যরা মুজাহিদদের আক্রমণের ভয়ে আফগান মুরতাদ সেনাবাহিনীর পেছনে পেছনে চলে। তারা সর্বদা শঙ্কিত ও তটস্থ অবস্থায় সময় অতিবাহিত করে।
এ প্রেক্ষাপটও আমাকে উক্ত আয়াত স্মরণ করিয়ে দেয়।

আল্লাহ্‌ তা’আলা চান নবীদের পদাঙ্ক অনুসরণকারী, সত্যবাদী, মুওয়াহহিদ মুজাহিদগণ যেন বাস্তবতা সম্পর্কে সজাগ থাকে।
আর চিরন্তন বাস্তবতা হল, এ দুনিয়া চিরস্থায়ী নয়, চির উপভোগ্যও নয়।

মুসলিমরা আর তাদের বিভিন্ন প্রকারের শত্রুদের প্রত্যেকেই দুনিয়াতে কষ্ট-ক্লেশ, দুঃখ-দুর্দশা আর বিপদাপদের সম্মুখীন হয়।

আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেন,

فَاَمَّا مَنۡ  اُوۡتِیَ  کِتٰبَہٗ  بِیَمِیۡنِہٖ فَسَوۡفَ یُحَاسَبُ حِسَابًا یَّسِیۡرًا ۙ﴿۸﴾ وَّ  یَنۡقَلِبُ  اِلٰۤی  اَہۡلِہٖ مَسۡرُوۡرًا ؕ﴿۹﴾وَ اَمَّا مَنۡ اُوۡتِیَ  کِتٰبَہٗ  وَرَآءَ ظَہۡرِہٖ ﴿ۙ۱۰﴾فَسَوۡفَ یَدۡعُوۡا  ثُبُوۡرًا ﴿ۙ۱۱﴾وَّ  یَصۡلٰی سَعِیۡرًا ﴿ؕ۱۲﴾اِنَّہٗ  کَانَ  فِیۡۤ   اَہۡلِہٖ مَسۡرُوۡرًا ﴿ؕ۱۳﴾اِنَّہٗ ظَنَّ  اَنۡ  لَّنۡ یَّحُوۡرَ ﴿ۚۛ۱۴﴾بَلٰۤی ۚۛ  اِنَّ  رَبَّہٗ  کَانَ بِہٖ بَصِیۡرًا ﴿ؕ۱۵﴾

“…অতঃপর যাকে তার ‘আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে। তার হিসেব-নিকেশ সহজেই নেয়া হবে। এবং সে তার স্বজনদের কাছে প্ৰফুল্লচিত্তে ফিরে যাবে; আর যাকে তার ‘আমলনামা তার পিঠের পিছনদিক থেকে দেয়া হবে, সে অবশ্যই তার ধ্বংস ডাকবে; এবং জ্বলন্ত আগুনে দগ্ধ হবে; নিশ্চয় সে তার স্বজনদের মধ্যে আনন্দে ছিল। সে মনে করত যে, সে কখনও ফিরে যাবে না। হ্যাঁ, নিশ্চয় তার রব তার উপর সম্যক দৃষ্টি দানকারী।”

– সূরা ইনশিকাক (৮৪ঃ৭-১৫)

আল্লাহ্‌র রাস্তায় কাজ করতে গিয়ে নির্মম অত্যাচার, শাস্তি, ভয় আর ক্ষুধার সম্মুখীন হওয়া, ক্লন্তিকর রাত্রি জাগরণ, শত্রুর মুকাবিলায় রক্তাক্ত হওয়া, বন্দী হওয়া বা নিহত হওয়া এবং তাগুতের পথে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হওয়ার মাঝে রয়েছে কতই না বিশাল ব্যবধান।

যে তাগুতি বাহিনী কুফরি আইন ও প্রশাসনের পাহারাদারিতে বিনিদ্র রজনী পার করে, দায়ী ও মুজাহিদিনদের শাস্তি দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পরে, কুফরি শক্তির সিংহাসন টিকিয়ে রাখতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে, মুজাহিদীন ও দাঈদের গ্রেফতারকরণ ও মামলা তদন্তের কাজে রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটিয়ে দেয়।

নিঃসন্দেহে তাগুতের এই বাহিনী আর আল্লাহ্‌র বাহিনীর মাঝে রয়েছে যোজন যোজন মাইলের দূরত্ব।

ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ يُقَـٰتِلُونَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ ۖ وَٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ يُقَـٰتِلُونَ فِى سَبِيلِ ٱلطَّـٰغُوتِ فَقَـٰتِلُوٓا۟ أَوْلِيَآءَ ٱلشَّيْطَـٰنِ ۖ إِنَّ كَيْدَ ٱلشَّيْطَـٰنِ كَانَ ضَعِيفًا
যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে তারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে এবং যারা কাফির তারা শাইতানের পক্ষে যুদ্ধ করে; সুতরাং তোমরা শাইতানের বন্ধুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর; নিশ্চয়ই শাইতানের কৌশল দুর্বল।
(সুরা নিসাঃ ০৪ঃ৭৬)

এই পক্ষও আশা করে, আবার অপর পক্ষও আশা করে। উভয়ের আশার মাঝে রয়েছে কতই না বিশাল ব্যবধান।

এদের এক দলের ব্যাপারে আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেছেন,
مَا ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ لَا يُصِيبُهُمْ ظَمَأٌۭ وَلَا نَصَبٌۭ وَلَا مَخْمَصَةٌۭ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَلَا يَطَـُٔونَ مَوْطِئًۭا يَغِيظُ ٱلْكُفَّارَ وَلَا يَنَالُونَ مِنْ عَدُوٍّۢ نَّيْلًا إِلَّا كُتِبَ لَهُم بِهِۦ عَمَلٌۭ صَـٰلِحٌ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُضِيعُ أَجْرَ ٱلْمُحْسِنِينَ
আল্লাহর পথে তাদের যে পিপাসা, ক্লান্তি আর ক্ষুধা পায় এবং তাদের এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করায় কাফিরদের যে ক্রোধের কারণ হয়ে থাকে, আর দুশমনদের হতে তারা যা কিছু প্রাপ্ত হয় – এর প্রত্যেকটি সৎ কাজ বলে গণ্য হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎ কর্মশীল লোকদের শ্রমফল (সাওয়াব) বিনষ্ট করেননা।
(সুরা তাওবাঃ ৯ঃ১২০)

আর অপর দলের ব্যাপারে বলেছেন,
إِنَّ ٱلَّذِينَ فَتَنُوا۟ ٱلْمُؤْمِنِينَ وَٱلْمُؤْمِنَـٰتِ ثُمَّ لَمْ يَتُوبُوا۟ فَلَهُمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ وَلَهُمْ عَذَابُ ٱلْحَرِيقِ
যারা বিশ্বাসী নর নারীকে বিপদাপন্ন করেছে এবং পরে তাওবাহ করেনি, তাদের জন্য আছে জাহান্নামের শাস্তি ও দহন যন্ত্রণা (নির্ধারিত) রয়েছে।
(সূরা বুরূজ, ৮৫ঃ১০)

সুবহানআল্লাহ! এই দুই দলের মধ্যে কতই না বিশাল ফারাক।

সকলেই বিনিদ্র রজনী অতিবাহিত করে, পরিশ্রম করে ক্লান্ত হয়।
কিন্তু সৎকর্মশীলগণ পরিশেষে রব্বের নিকটে যোগ্য আসনে থাকবেন। তাদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে নিয়ামতপূর্ণ জান্নাত এবং তাদের রব্বের নিকট জমাকৃত অশেষ সওয়াব। যা মহান সত্তার সাথে সাক্ষাতের পূর্ব অবধি বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। তারা প্রবেশ করবেন মহা নিয়ামতের মাঝে এবং আর কোনদিন তারা মৃত্যুবরণ করবেন না।

বিপরীতে, পাপিষ্ঠরা তাদের তাগুত নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে সামান্য বেতন-ভাতা প্রাপ্ত হয়, যা তাদের হায়াতও বৃদ্ধি করে না কিংবা অমরও করে না। তাদের বেতন ভাতা তো শীঘ্রই নিঃশেষ হয়ে যাবে আর বাকী থাকবে অর্জিত
পাপের বোঝা। যে বোঝা হবে অত্যন্ত ভারী।

আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেন,
فَيَوْمَئِذٍۢ لَّا يُعَذِّبُ عَذَابَهُۥٓ أَحَدٌۭ
وَلَا يُوثِقُ وَثَاقَهُۥٓ أَحَدٌۭ
সেই দিন তাঁর শাস্তির মত শাস্তি কেহ দিতে পারবেনা,এবং তাঁর বন্ধনের মত বন্ধন কেহ করতে পারবেনা।
(সূরা ফজর, ৮৯ঃ ২৫-২৬)

যে চিরস্থায়ী শাস্তির মধ্যে থাকবে, সামান্য কিছু দিনের ভোগ-বিলাসিতার কিই বা মূল্য রয়েছে?

কিয়ামতের দিন দুনিয়ার সবচেয়ে ভোগ-বিলাসিতায় নিমজ্জিত থাকা ব্যক্তিটিকে নিয়ে এক মুহূর্তের জন্য জাহান্নামে ডুবিয়ে উঠানোর পর বলা হবে, ‘তুমি কি কখনো সুখ-শান্তি দেখেছ?’

এক মুহূর্ত জাহান্নামে অবস্থানের অনুভূতি পার্থিব জীবনের সকল আনন্দকে ভুলিয়ে দিবে। অথচ সে দুনিয়াতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ আরাম-আয়েশেই ছিল।
এই সামান্য মুহূর্তের শাস্তিই যদি অসহ্য হয়, তবে কীভাবে সম্ভব চিরস্থায়ী শাস্তি সহ্য করা।

অতঃপর এমন এক ব্যক্তিকে উপস্থিত করা হবে যে দুনিয়াতে সর্বপ্রকার দুঃখ দুর্দশায় জর্জরিত ছিল। তাকে সামান্য সময়ের জন্য জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে বের করে আনার পর জিজ্ঞাসা করা হবে, ‘তুমি কি কোনদিন দুঃখ দুর্দশা দেখেছ?’ সে উত্তরে বলবে, “ওয়াল্লাহি! আমি কোন দিনই দুঃখ-দুর্দশা প্রত্যক্ষ করিনি।”

যখন আল্লাহ্‌ তা’আলা সত্যবাদী মুয়াহহিদ দায়ী ও মুজাহিদদেরকে প্রতিশ্রুত চিরস্থায়ী নিয়ামতরাজি দেখাবেন, যা কি না অনিঃশেষ ও অবিনশ্বর; এবং আরও দেখাবেন তার ক্ষতিগ্রস্ত শত্রুদের প্রত্যাবর্তনস্থল,
তখন সে আল্লাহ্‌ তা’আলার সন্তুষ্টি লাভের আশায় তার রব্বের পথে কাটানো নির্ঘুম রাত, কষ্ট সহ্য করা, ক্লান্ত হওয়া কিংবা অত্যাচারিত হওয়ার কথা ভুলে যাবে। বরং আল্লাহ্‌র পথে পাওয়া সকল প্রকার কষ্ট-ক্লেশকে তুচ্ছ মনে করতে থাকবে।
সে আশা করবেঃ ‘আহ! যদি আমি আরও অধিক পরিমাণে আল্লাহ্‌র পথে নির্যাতিত হতাম, কষ্ট করতাম, নির্ঘুম রাত কাটাতাম!’

“হে নফস! তুমি অল্প সময় ধৈর্যধারণের চেষ্টা কর,
কেননা মহান রবের সাক্ষাতের সময় সকল দুঃখ ঘুচে যাবে।
দুঃখের সময় অতি সামান্যই, অতঃপর তা ফুরিয়ে যাবে,
আর অচিরেই দুঃখ-দুর্দশাগ্রস্থ ব্যক্তি হয়ে যাবে আনন্দিত।”

এই স্মরণিকাটি আমার নিজের জন্য এবং বিভিন্ন ভূখণ্ডের মুজাহিদ ও দায়ীদের জন্য। আর বিশেষ করে এখানে-সেখানে কাছে-দূরে কুফফারদের কারাগারে বন্দী আমার ভাইদের জন্য।

(শায়খ আবু মুহাম্মাদ আল মাকদিসি (হাঃ)’র “و لا تحزنو” মাকালা হতে অনুদিত ও পরিমার্জিত)

(Visited 614 times, 1 visits today)