আল্লাহওয়ালা হোন!

শায়খ খালিদ বাতারফি

ইবনুল কায়্যিম রহিমাহুল্লাহ বলেন:

“অন্তরের জিহাদও চার স্তরের:

এক. সেই হেদায়াত (পথনির্দেশ) ও সত্য দ্বীন শিখার ব্যাপারে অন্তরের সাথে জিহাদ করা, যা ব্যতীত তার ইহকালে ও পরকালে কোন সফলতা ও সুখ লাভ হবে না।

যখন তার জ্ঞানের মধ্যে এটা অনুপস্থিত থাকবে, তখন সে উভয় জগতে হতভাগা হবে।

দুই. জানার পর তার উপর আমল করার ব্যাপারে অন্তরের সাথে জিহাদ করা। অন্যথায় আমল ছাড়া শুধু ইলম তার কোন ক্ষতি বা উপকার করতে পারবে না।

তিন. দ্বীনের দিকে আহবান করার ব্যাপারে এবং যে দ্বীন জানে না, তাকে শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে অন্তরের সাথে জিহাদ করা। অন্যথায় সে সেসকল লোকের অন্তর্ভুক্ত হবে, যারা আল্লাহর নাযিলকৃত সুস্পষ্ট প্রমাণসমূহ ও হেদায়াত গোপন করে। তার এই ইলম তার কোন উপকারে আসবে না। এটা তাকে আল্লাহর শাস্তি থেকেও রক্ষা করতে পারবে না।

চার. আল্লাহর পথে দাওয়াতের কষ্টে এবং সৃষ্টিজীবের অত্যাচারে ধৈর্য ধারণ করার ব্যাপারে এবং এসব কিছু আল্লাহর জন্য সহ্য করার ব্যাপারে অন্তরের সাথে জিহাদ করা।

কেউ যখন এই চার স্তর পূর্ণ করবে, তখন সে আল্লাহওয়ালাদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে। সমস্ত সালাফগণ এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন যে, কোন আলেমকে ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহওয়ালা বলে অভিহিত করা যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে হক না চিনবে, সে অনুযায়ী আমল না করবে এবং তা অন্যকে শিক্ষা না দিবে। সুতরাং যে শিখবে, আমল করবে এবং অন্যকে শিক্ষা দিবে, তাকেই ঊর্ধ্ব জগতে মর্যাদার সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে বলে ডাকা হবে।”

বর্তমানে আমাদের মুসলিম জাতি, এমনকি গোটা বিশ্ব যে ব্যাপক দুর্যোগ ও ফেতনার মধ্যে বসবাস করছে, এ সময় আমাদের জন্য নিজেদের বিষয়াবলীতে সুস্পষ্ট প্রমাণের উপর থাকা, পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়া এবং আমাদের সমস্যাগুলোর সমাধান বের করা কতটা প্রয়োজন!? 

আর এই উদ্দেশ্য আমাদের দ্বীনের বিধানাবলীর বুঝ ও পারদর্শিতা ব্যতীত এবং আল্লাহ তা’আলার শরয়ী নীতিমালা ও জাগতিক নীতিমালা জানা ব্যতীত অর্জিত হবে না। এই উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য অর্জনকারীকে শুধু ইলম অন্বেষণকারী হলেই চলবে না। কারণ কত তালিবুল ইলম (ইলম অন্বেষণকারী) এমন আছে, যে সঠিক পথ পায়নি। শুধু তাই নয়, অনেকের ইলম তার জন্য বিপদের কারণ হয়েছে, সে এর দ্বারা উপকৃত হতে পারেনি। কত আলেম এমন আছে, যে তার ইলমকে দুনিয়াবি লক্ষ্য পূরণের বাহন বানিয়েছে।

যে জিনিসটির সত্যিকার প্রয়োজন, তা হল: আমাদেরকে আল্লাহওয়ালা হতে হবে। আমরা ইলম শিখব তা অনুযায়ী আমল করার জন্য। তারপর তার দিকে আহবান করব এবং তার উপর আমল করতে ও তা প্রচার করতে গিয়ে যে কষ্ট ও পরিশ্রম করতে হয়, তাতে ধৈর্য ধারণ করব। বর্তমানে আমাদের উম্মতের অনেক যুবকরা যে জিনিসটির উপযুক্ত গুরুত্ব দেয় না, তা হল: আমাদের রবের কিতাব এবং আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ থেকে উৎসারিত শরয়ী ইলম, যা আমাদের পুণ্যবান পূর্বসূরিদের বুঝের ভিত্তিতে হয়। আমাদের মাঝে অনেক তালিবুল ইলমের মধ্যে যে জিনিসটির ঘাটতি থাকে, তা হল: ইলম অন্বেষণের ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ নিয়ত, যা ইলম অনুযায়ী আমল করার দিকে নিয়ে যায়।

এ দু’টি জিনিস থাকলেই এমন কীর্তিমান প্রজন্ম গড়ে উঠবে, যারা সৎ কাজের আদেশ করবে, মন্দ কাজে বাধা প্রদান করবে, বিনষ্টকারীরা যা নষ্ট করে দিয়েছে, তা সংস্কার করবে এবং উম্মাহর পুণ্যবান পূর্বসূরি সংস্কারকদের যাত্রা পূর্ণ করবে। এ পথে যদি তার সামনে কোন প্রতিবন্ধকতা আসে বা কোন কষ্ট ও অপছন্দনীয় বিষয় ঘটে, তখন সুদৃঢ় পাহাড়ের ন্যায় অটল থাকবে। কোন বিপদ তাকে টলাতে পারবে না এবং প্রচণ্ড ঝঞ্ঝাবায়ুও তার ভিত নাড়াতে পারবে না।

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

الْمُؤْمِنُ الْقَوِيُّ خَيْرٌ وَأَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنَ الْمُؤْمِنِ الضَّعِيفِ وَفِي كُلٍّ خَيْرٌ احْرِصْ عَلَى مَا يَنْفَعُكَ وَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ وَلاَ تَعْجِزْ وَإِنْ أَصَابَكَ شَىْءٌ فَلاَ تَقُلْ لَوْ أَنِّي فَعَلْتُ كَانَ كَذَا وَكَذَا ‏.‏ وَلَكِنْ قُلْ قَدَرُ اللَّهِ وَمَا شَاءَ فَعَلَ فَإِنَّ لَوْ تَفْتَحُ عَمَلَ الشَّيْطَانِ

“শক্তিশালী মুমিন আল্লাহর নিকট দুর্বল মুমিন অপেক্ষা উত্তম ও প্রিয়। তবে উভয়ের মধ্যেই কল্যাণ আছে। তোমার উপকারী বিষয় অর্জনের প্রতি সচেষ্ট হও, আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা কর, অক্ষম হবে না। তোমার কোন বিপদ ঘটলে এমনটা বলবে না যে, আমি এটা করলে এটা হত। বরং বল: আল্লাহ (এমনটা) নির্ধারণ করেছেন। তিনি যা চেয়েছেন, তাই করেছেন। কারণ ‘যদি’ কথাটি শয়তানের কাজের দরজা খুলে দেয়।”  (সহিহ মুসলিম ই ফা – ৬৫৩২) 

হাসান বসরী রহিমাহুল্লাহ বলেন: তুমি যদি এমন বিচক্ষণ লোক দেখতে চাও, যার ধৈর্য নেই, তবে এমন অনেক দেখতে পাবে। তুমি যদি এমন ধৈর্যশীল ব্যক্তি দেখতে চাও, যার মাঝে বিচক্ষণতা নেই, তবে তাও অনেক দেখতে পাবে। কিন্তু তুমি যদি বিচক্ষণ ধৈর্যশীল (উভয় গুণে গুণান্বিত) দেখতে চাও, তবে সেটা অনেক বড় বিষয়। আল্লাহ তা’আলা বলেছেন:

وَجَعَلْنَا مِنْهُمْ أَئِمَّةً يَهْدُونَ بِأَمْرِنَا لَمَّا صَبَرُوا وَكَانُوا بِآيَاتِنَا يُوقِنُونَ  

“আর আমি তাদের মধ্যে কিছু লোককে, যখন তারা সবর করল, এমন নেতা বানিয়ে দিলাম, যারা আমার নির্দেশ অনুসারে মানুষকে পথপ্রদর্শন করত এবং তারা আমার আয়াতসমূহে গভীর বিশ্বাস রাখত।” (সূরা সাজদা ৩২:২৪)

তাই শক্তি ও বিচক্ষণতার উপকরণগুলো অবলম্বন করা আল্লাহর প্রতি ঈমানের দৃঢ়তার অংশ এবং দুনিয়ার প্রতিষ্ঠা ও পরকালের স্থায়ী নেয়ামতের প্রতিশ্রুতির প্রতি নিশ্চিত বিশ্বাসেরই অংশ।

দূরদর্শী শাইখ বিজ্ঞ আলেম ইবনে কায়্যিম আলজাওযিয়াহ রহিমাহুল্লাহর পূর্বোল্লিখিত বক্তব্যটি কাঙ্ক্ষিত আল্লাহওয়ালা হওয়ার পদ্ধতির ব্যাপারে প্রশান্তিদায়ক ও পরিপূর্ণ একটি বর্ণনা। এর মাধ্যমেই একজন মানুষ নিজের কার্যাবলীর ব্যাপারে পরিষ্কার সিদ্ধান্তের মধ্যে থাকতে পারবে, আল্লাহর ইচ্ছায় দাওয়াতের ভার বহনে সক্ষম হবে এবং নিজের ও উম্মতের জন্য উপকারী হতে পারবে।

এ যুগে আমরা অনেক মানুষের মুখে এই বাক্যটি খুব বেশি বেশি শুনি যে: “এখনো আমরা জানতেই পারিনি যে, হক কোথায় এবং কার সাথে!” এই দিশেহারা ভাব এবং সত্য-সঠিকের সন্ধান না পাওয়ার কারণ হকের অস্পষ্টতা বা প্রচ্ছন্নতা নয়। বরং এর কারণ হল, আমাদের অনেক মানুষের শিক্ষা গ্রহণের উৎস ও ভিত্তি সঠিক না থাকা। 

আমরা দ্বীন ও দ্বীনের বিধি-বিধান আল্লাহর কিতাব এবং নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ থেকে গ্রহণ করি না। কুরআন-সুন্নাহ বুঝার ক্ষেত্রে আমাদের মাপকাঠি সালাফে সালিহীন (পুণ্যবান পূর্বসূরিগণ) এবং আমাদের মাঝে বিদ্যমান সেই সকল আল্লাহওয়ালা আলেমগণ হয় না, যারা পুণ্যবান পূর্বসূরিদের বুঝ আঁকড়ে ধরেন, যারা ইলম শিখেছেন, তার উপর আমল করেছেন এবং যেভাবে শিখেছেন, সেভাবেই অন্যের নিকট পৌঁছে দিয়েছেন। তারা যখন এই ইলম ও তাবলীগের কারণে পরীক্ষার সম্মুখীন হন, তখন সবর ও ত্যাগ শিকার করেন।

বরং পরিতাপের বিষয়, আমাদের জ্ঞান আহরণের উৎস হয়ে গেছে টেলিভিশনের স্ক্রিন, বিভিন্ন চ্যানেল ও তার আলোচকরা। ইন্টারনেট পেইজ এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম- যেমন: ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি! অথচ সেখানে যে প্রকাশনা, চিত্র ও নামসমূহ দেখা যাচ্ছে, তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধর্মীয় ও আদর্শগত অবস্থা আমরা জানি না।

যে পূর্ব হতেই নিজের ভিত্তি তৈরি করে নিয়েছে, হক-বাতিল ও ভুল-সঠিকের মাঝে পার্থক্য নির্ণয় করতে সক্ষম হয়ে গেছে, তার জন্য উল্লেখিত মিডিয়া উপকরণগুলো থেকে উপকৃত হতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু এগুলোকেই জ্ঞান আহরণের উৎস ও ভিত্তি বানিয়ে ফেলাই বিভ্রান্তি ও বিকৃতি। আল্লাহ তা’আলা মুমিনদের জ্ঞান আহরণের উৎসের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন:

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ  

“হে মুমিনগণ! (কোন বিষয়ে) আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের থেকে আগে বেড়ে যেও না। আল্লাহকে ভয় করে চলো। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু জানেন।” (সূরা হুজরাত ৪৯:১)

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: “আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের থেকে আগে বেড়ে যেও না”-এর অর্থ হল, কিতাব-সুন্নাহ বিরোধী কথা বলো না।

আর শরয়ী বর্ণনাসমূহ বুঝার ভিত্তি বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন:

فَإِنْ آمَنُوا بِمِثْلِ مَا آمَنْتُمْ بِهِ فَقَدِ اهْتَدَوْا وَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّمَا هُمْ فِي شِقَاقٍ

“অতঃপর তারাও যদি সেরকম ঈমান আনে, যেমন তোমরা ঈমান এনেছ, তবে তারা সঠিক পথ পেয়ে যাবে। আর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে তারা মূলত শত্রুতায় লিপ্ত হয়ে পড়েছে।” (সূরা বাকারাহ ২:১৩৭)

মহান পবিত্র আল্লাহ আরো বলেন:

وَمَنْ يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَى وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّى وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ وَسَاءَتْ مَصِيرًا  

“আর যে ব্যক্তি তার সামনে হেদায়াত স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করবে ও মুমিনদের পথ ছাড়া অন্য কোন পথ অনুসরণ করবে, আমি তাকে সেই পথেই ছেড়ে দেব, যা সে অবলম্বন করেছে। আর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব, যা অতি মন্দ ঠিকানা।” (সূরা নিসা ৪:১১৫)

এ সকল আয়াত স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে যে: হেদায়াত ও সঠিক পথ আছে কুরআন-সুন্নাহ বুঝার ক্ষেত্রে সালাফদের নীতি অনুসরণের মাঝে এবং এটা ছেড়ে তাদের পরবর্তী অন্যদের বুঝের দিকে না যাওয়ার মাঝে, চাই তারা যতই আবেদ (ইবাদতগোজার) ও যাহেদ (দুনিয়াবিমুখ) হোক।

ইবনুল কায়্যিম রহিমাহুল্লাহ বলেন: “ইলম হল: আল্লাহ যা বলেছেন এবং তাঁর রাসূল বলেছেন এবং সাহাবীগণ যা বলেছেন”। তারাই গভীর বুঝের অধিকারী। কোন ইলম আজ আপনাকে নির্বুদ্ধিতাবশত রাসূলকে আর অমুক-তমুকের কথাকে মুখোমুখি দাঁড় করাতে নিয়োজিত করেছে?!

এক্ষেত্রে মানুষ তিন শ্রেণীর: 

এক. এমন আলেম, যিনি তার ইলম অনুযায়ী আমল করেন, দলিল-প্রমাণের সাথে আল্লাহর পথে আহবান করেন এবং আল্লাহর পথে আগত কষ্টে সবর করেন। 

দুই. এমন তালিবুল ইলম (ইলম অন্বেষণকারী), যে সত্যের সন্ধান করে, আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের সুন্নাহ ছাড়া কোন কিছুর পক্ষপাতিত্ব করে না। 

তিন. অন্ধ অনুসরণকারী, অজ্ঞ। এদের মধ্যে যাকে আল্লাহ তাওফিক দান করেন, তাকে আল্লাহওয়ালা আলেমদের অনুসারীদের অন্তর্ভুক্ত করে দেন। আর যে বঞ্চিত হয়, সে জাহান্নামের দরজার আহ্বানকারীদের অনুসারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। আল্লাহ আমাদেরকে ও সমস্ত মুসলমানদেরকে এ থেকে আশ্রয় দান করুন।

এমনিভাবে আলী ইবনে আবি তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন:

“মানুষ তিন প্রকার: 

১. আল্লাহওয়ালা আলেম। 

২. মুক্তির পথে চলমান শিক্ষা অর্জনকারী। 

৩. মূর্খ বর্বর- যে যেদিকে আহবান করে, সেদিকেই যায়। প্রত্যেক বাতাসের সাথে তাল মিলায়। ইলমের নূরে আলোকিত হয়নি। মজবুত খুঁটি আঁকড়ে ধরেনি।”

তাই হে মুসলিম মুজাহিদ ভাই, 

আপনি আপনার জ্ঞান আহরণ ও তার উৎসের ক্ষেত্রে আল্লাহওয়ালা হোন। যদি এটা না হতে পারেন, তাহলে আল্লাহওয়ালা আমলদার আলেমদের অনুসরণ করুন। কিন্তু সেসকল পথভ্রষ্ট নামধারী আলেমদের অনুসারী হওয়া থেকে সাবধান! যারা নষ্ট করে, বিকৃত করে, কিন্তু তারা মনে করে, তারা সঠিক পথে আছে এবং সংশোধন করছে।

ইমাম মুহাম্মদ ইবনে সিরীন রহিমাহুল্লাহ বলেন: “এই ইলমই হল দ্বীন, তাই খেয়াল কর – কার থেকে দ্বীন গ্রহণ করছো।”

আমাদের সর্বশেষ কথা: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।

(Visited 367 times, 1 visits today)